বাসস
  ২৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৬:৫৪

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জ শাখার আহ্বায়ক মেহেদী ও সদস্য সচিব মাসুদ 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জ শাখার নতুন আহ্বায়ক কমিটির আহ্বায়ক মুনতাছির মেহেদী হাসান এবং সদস্য সচিব মাসুদ রানা। ছবি: কোলাজ বাসস

সিরাজগঞ্জ, ২৯ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সিরাজগঞ্জ শাখার নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। মুনতাছির মেহেদী হাসানকে আহ্বায়ক এবং মাসুদ রানাকে সদস্য সচিব করে আগামী ছয় মাসের জন্য এ কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। 

গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়। সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ, মুখ্য সমন্বয়ক হাসিব আল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক মুঈনুল ইসলামের স্বাক্ষর করা একটি পত্রে কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়।  

২০৪ সদস্যের এ কমিটিতে সালমান জোয়ারদারকে মুখ্য সংগঠক ও রাজিয়া ভূঁইয়া রাজিতাকে মুখপাত্র করা হয়েছে। কমিটিতে আশিককে সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক, ইয়াসির আরাফাত ইশানকে সিনিয়র যুগ্মসচিব, মাসুম আনামকে সিনিয়র মুখ্য সংগঠক ও সাদিয়া আহমেদ সিনহাকে সিনিয়র সহ মুখপাত্র করা হয়েছে। 

এ ছাড়া ২৭ জনকে যুগ্ম-আহ্বায়ক, ১৩ জনকে যুগ্ম-সদস্যসচিব, ২২ জনকে যুগ্ন মুখ্য সংগঠক, ৬০ জনকে সংগঠক, ১০ জনকে সহ মুখপাত্র ও ৬৪ জনকে সদস্য করা হয়। 

এর আগে গত ৮ ফেব্রুয়ারি আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সদস্য সচিব আরিফ সোহেলের স্বাক্ষর করা পত্রে ২৮৪ সদস্য বিশিষ্ট জেলা কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। তাতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্য সচিব, ইকবাল হোসেন রিপনকে মুখ্য সংগঠক ও টিএম মুশফিক সাদকে মুখপাত্র করা হয়। কিন্তু ওই কমিটি ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই পক্ষে-বিপক্ষে নানান কর্মসূচি পালন করে চব্বিশের আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা। এরপর ১০ ফেব্রুয়ারি কমিটি স্থগিত ঘোষণা করে কেন্দ্রীয় কমিটি। পরবর্তী ২৮ ফেব্রুয়ারি কমিটির সদস্য সংখ্যা বাড়িয়ে ৩৭২ জন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সজীব সরকারকে আহ্বায়ক, মেহেদী হাসানকে সদস্যসচিব, ইকবাল হোসেনকে মুখ্য সংগঠক ও টি এম মুশফিককেই মুখপাত্র করা হয়েছিল। 

পরবর্তীতে ২৭ জুলাই কেন্দ্রীয় কমিটি বাদে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটি স্থগিত করা হয়। চলতি মাসের ৩ নভেম্বর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি রিফাত রশিদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সব কমিটির স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার ও ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি পুনর্গঠনের নির্দেশ দেন।