শিরোনাম

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য প্রথমবারের মতো চালু হওয়া ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপে ঠিকানা ভুল ও অসম্পূর্ণ তথ্যের কারণে সৌদি আরবসহ সাতটি দেশে ভোটার নিবন্ধন কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত থাকলেও নির্বাচন কমিশন (ইসি) আশা করছে শুক্রবার সকালেই পুনরায় এটি চালু হবে।
আজ বৃহস্পতিবার ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এবং ওসিভি ও এসডিআই প্রকল্পের টিম লিডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) সালীম আহমাদ খান সাংবাদিকদের বিষয়টি জানান।
সালীম আহমাদ খান বলেন, ‘গত রাত আড়াইটার দিকে দেখা যায়, সৌদি আরবসহ সাতটি দেশের প্রবাসী ভোটাররা সঠিকভাবে ঠিকানা ইনপুট দিতে পারছেন না। ব্যালট পেপার পৌঁছাতে হলে ঠিকানা অবশ্যই ইংরেজিতে এবং পূর্ণ পোস্ট কোডসহ দেওয়া আবশ্যক। অনেকেই ম্যান্ডেটরি ফিল্ডে ভুল বা অসম্পূর্ণ তথ্য দিচ্ছিলেন। তাই নিবন্ধন প্রক্রিয়া অস্থায়ীভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। এরপর আমরা দূতাবাসের মাধ্যমে প্রবাসীদের এবং অন্যান্য চ্যানেলের মাধ্যমে সঠিক ঠিকানা পূরণের বিষয়ে জানাব।’
তিনি আরো জানান, ‘প্রবাসী ভোটাররা যাতে শুক্রবার ছুটির দিনে নিবন্ধন করতে পারেন, সেই হিসেবে এ পরিকল্পনা করা হয়েছে। আজ সকাল থেকে সাতটি দেশের দূতাবাসের সঙ্গে বৈঠক করে বিস্তারিত রোডম্যাপ ঠিক করেছি। ইনশাআল্লাহ, আগামীকাল সকালেই অ্যাপ পুনরায় চালু করার চেষ্টা করছি।’
যারা ইতোমধ্যে নিবন্ধন করেছেন, তাদের জন্য ঠিকানা সংশোধনের ব্যবস্থা চালু করা হবে উল্লেখ করে সালীম আহমাদ খান বলেন, অ্যাপের ভেতরে ঠিকানা পুন:যাচাই করার সুবিধা থাকছে।
নিবন্ধনের সময় বাড়ানো হবে কি না-এ প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, বর্তমানে ২১ দিনের সময় যথেষ্ট। ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত নিবন্ধন চলবে। একজন ভোটারও যাতে বাদ না পড়ে, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। এরপর ব্যালট পেপার প্রিন্টিং ও ডাক বিভাগে হস্তান্তরের প্রস্তুতি নেওয়া হবে।’
ইসির তথ্যানুযায়ী, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ‘পোস্টাল ভোট বিডি’ অ্যাপ ডাউনলোড করেছেন ২ লাখেরও বেশি প্রবাসী ভোটার এবং নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন ৫৬ হাজার ৩৯৯ জন। ঠিকানা ইনপুটজনিত সমস্যার কারণে বাহরাইন, কুয়েত, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে সাময়িকভাবে নিবন্ধন বন্ধ রাখা হয়েছিল।
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে প্রথমবারের মতো বিদেশে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা পোস্টাল ব্যালটের মাধ্যমে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। নিবন্ধন ও ঠিকানা নিশ্চিত হলে প্রত্যেক প্রবাসীর ব্যালট বাংলাদেশে পৌঁছে যাবে, যা দেশের নির্বাচনী ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।