বাসস
  ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৮:৫২
আপডেট : ০৮ অক্টোবর ২০২৫, ১৯:৩৭

বিএমইউ’র প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসা সেবায় বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন

ঢাকা, ৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটি (বিএমইউ) প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাসেবায় বৈশ্বিক স্বীকৃতি অর্জন করেছে।

বিএমইউ ২০২৫ সালের জন্য ওয়ার্ল্ড এভিডেন্স-বেইসড হেলথকেয়ার (ইবিএইচসি) ডে আনুষ্ঠানিকভাবে এভিডেন্স অ্যাম্বাসেডর হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। এভিডেন্স অ্যাম্বাসেডর হিসেবে এই স্বীকৃতি বিএমইউ’র গবেষণা, চিকিৎসা উৎকর্ষতা এবং তথ্যনির্ভর সিদ্ধান্ত গ্রহণে অবিচল অঙ্গীকারের প্রতিফলন। 

বিএমইউ সূত্র জানায়, বাংলাদেশে প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার ক্ষেত্রে একটি অসাধারণ অর্জন সম্পন্ন হয়েছে। এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি বিএমইউকে বিশ্বের এমনসব খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠানের কাতারে স্থান দিয়েছে, যারা প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার (এভিডেন্স বেসড হেলথকেয়ার) উন্নয়নে কাজ করছে।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ মেডিকেল ইউনিভার্সিটির ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম, ভিডিওগ্রাফি ক্যাটাগরিতে এবং আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক ডা. দীনে মুজাহিদ ফারুক ওসমানীরক তাদের অসামান্য অবদানের জন্য ভিজ্যুয়াল মিডিয়া ক্যাটাগরিতে অ্যাম্বাসেডর হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।

এই অর্জন বিএমইউ’র নেতৃত্ব, শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল, যারা বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ও জ্ঞান বিনিময়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। এটি বাংলাদেশের জন্য এক গৌরবের মুহূর্ত, যা আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য ও একাডেমিক অঙ্গনে দেশের অবস্থানকে আরো সুদৃঢ় করেছে।

উল্লেখ্য, বিএমইউয়ে প্রমাণভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)-এর উদ্যোগে এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন বিষয়ে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কর্মশালা ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছে এবং এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। 

এভিডেন্স বেইজড মেডিসিন প্র্যাকটিস বা প্রমাণভিত্তিক চিকিৎসাবিদ্যার চর্চা চিকিৎসা ব্যয় কমাতে ভূমিকা রাখবে এবং একই রোগীর ক্ষেত্রে বিভিন্ন চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনে লিখিত ওষুধ ও ইনভেস্টিগেশনে বড় ধরনের পার্থক্য এড়ানো সম্ভব হবে। 

এ ছাড়া মেডিক্যাল অডিট, ক্লিনিক্যাল অডিট বিষয়ে প্রয়োজনীয় জ্ঞান আহরণসহ বিজ্ঞানভিত্তিক চিকিৎসা চর্চায় এভিডেন্স বেইজড মেডিসিনের অনেক গুরুত্ব রয়েছে, যা চিকিৎসাসেবা, চিকিৎসা শিক্ষা ও গবেষণায় গণগত মানবৃদ্ধির মাধ্যমে সামগ্রিক স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে বড় পরিবর্তন হবে।