শিরোনাম
দিনাজপুর, ২৫ মে ২০২৫(বাসস): জেলার হাকিমপুর সীমান্ত এলাকায় পুলিশের অভিযানে পরিত্যক্ত অবস্থায় কষ্টি পাথরের মূল্যবান একটি মহাদেব মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি।
হাকিমপুর থানার এস আই সুমন কুমার রায় জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলার হাকিমপুর উপজেলার সীমান্তবর্তী মঙ্গলা বাজারের উত্তর পাশে বাসহাটির নিকটবর্তী জায়গা থেকে আজ রোববার ভোরে কষ্টি পাথরের মূল্যবান মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়।
মূর্তিটির ওজন ৪ কেজি ১৩৮ গ্রাম ও প্রস্থে সাড়ে ৪ ইঞ্চি। মূর্তিটির মাথা ও পেটের দিকে ভাঙ্গা থাকার কারণে এটি কি মূর্তি তা পরিষ্কার বোঝা যাচ্ছে না। তবে কষ্টি পাথরের মূর্তিটি মহাদেবের হতে পারে বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের ধারণা।
মূর্তির গায়ে লেখাটির পাঠোদ্ধার করা যায়নি। এ কারণে এটি কোন সময়কার মূর্তি তা বোঝা সম্ভব হয়নি।
তবে উদ্ধার করা মূর্তিটি প্রাথমিকভাবে হিলি বাজারের স্বর্ণকার দিয়ে পরীক্ষা করে কষ্টি পাথরের মূল্যবান মূর্তি বলে শনাক্ত করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্র জানায়, উদ্ধারকৃত মূল্যবান কষ্টি পাথরের মূর্তিটি জব্দ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আজ বিকেলে দিনাজপুর চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে কষ্টি পাথরের মূর্তি উদ্ধারের প্রতিবেদন পেশ করা হবে। আদালতে মূর্তিটি প্রদর্শন করার মাধ্যমে, মহাদেব মূর্তিটি জেলার কাহারোল উপজেলায় অবস্থিত কান্তজির মন্দিরের জাদুঘরে প্রেরণ করার জন্য বিচারকের নিকট অনুমতি চাওয়া হবে।
বিচারক অনুমতি দিলে মূর্তিটি যথাযথ প্রক্রিয়ায় কান্তজীর মন্দির সংলগ্ন জাদুঘরে সংরক্ষণের জন্য প্রেরণ করা হবে।
জেলার হাকিমপুর থানার ওসি পরিদর্শক মো. নাজমুল হক বলেন, সীমান্ত এলাকায় যেখান থেকে মূর্তিটি উদ্ধার করা হয়েছে, এটি সেখানে থাকার কথা না। তাই মূর্তিটি ভারতে পাচার করে দেওয়ার উদ্দেশ্যে চোরাচালানিরা ঘটনাস্থলে রেখেছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। সুযোগ বুঝে চোরাচালানিরা ভারতে পাচার করে দিত। কিন্তু তার আগেই পুলিশ মূর্তিটি উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। ফলে তাদের উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়ে যায়।