বাসস
  ০২ আগস্ট ২০২৩, ১৪:৩৪

জয়পুরহাটে গভীর ও অগভীর নলকূপ দিয়ে চলছে আমনের চারা রোপণ

জয়পুরহাট, ২ আগস্ট, ২০২৩ (বাসস) : জেলায় চলতি মৌসুমে আশানুরুপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় গভীর ও অগভীর নলকুপের সাহায্যে সেচ দিয়ে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করছেন কৃষকরা। গত দু’মাস ধরে তেমন বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খরার কবলে পড়েছে খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাট।    
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্র বাসস’কে জানায়,  জেলায় এবার রোপা আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করে স্থানীয়  কৃষি বিভাগ। কিন্তু  জয়পুরহটে গত দু’মাস ধরে আশানুরুপ বৃষ্টিপাত না হওয়ায় খরার কবলে পড়ে। সে কারণে স্থানীয় কৃষি বিভাগ সেচের আওতায় রোপা আমন ধানের চারা রোপণের পরামর্শ প্রদান করে কৃষকদের। রোপা আমন চাষ সফল করতে জেলায় ২ হাজার ৩৬০টি সেচ পাম্পের মাধ্যমে সেচ দিয়ে কৃষকরা এখন চারা রোপণ করছেন। ইতোমধ্যে (৩১ জুলাই পর্যন্ত ) ৭০ ভাগ জমিতে আমন ধানের চারা রোপণ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ। জেলায় চলতি ২০২৩-২০২৪  মৌসুমে ৬৯ হাজার ৬৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে উচ্চ ফলনশীল জাতের ৬১ হাজার ৮৬২ হেক্টর, হাইব্রীড জাতের ৭ হাজার ৩৬০ হেক্টর ও স্থানীয় জাতের রয়েছে এক হাজার ৪২৮ হেক্টর। এতে চালের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে  ২ লাখ ২১ হাজার ২৩৫ মেট্রিক টন । উপজেলা ভিত্তিক রোপা আমন চাষের লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রয়েছে জয়পুরহাট সদরে ১৬ হাজার ৯৯৫ হেক্টর, পাঁচবিবি উপজেলায় ১৯ হাজার ৩৫৫ হেক্টর, আক্কেলপুরে ১০ হাজার ৬৪৩ হেক্টর, ক্ষেতলাল উপজেলায় ১০ হাজার ৭৪০ হেক্টর ও কালাই উপজেলায় ১১ হাজার ৯১৭ হেক্টর। জেলায় রোপা আমন চাষ সফল করতে  কৃষি বিভাগের সার্বিক তত্বাবধানে  ৩ হাজার ৪১১ হেক্টর জমিতে এবার বীজতলা তৈরি করা হয়। খাদ্য উৎপাদনে উদ্বৃত্ত জেলা জয়পুরহাটে রোপা আমন চাষ সফল করতে মাঠ পর্যায়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তারা কৃষকদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদান করছেন । জেলায় বর্তমানে  ইউরিয়া ২ হাজার ৭১৩ মেট্রিক টন, টি এস পি ১ হাজার ৩০৯ মেট্রিক টন, এম ও পি ১ হাজার ১৪৮ মেট্রিক টন এবং ডি এ পি ১ হাজার ৭৬৩ মেট্রিক টন রাসায়নিক সার মজুদ রয়েছে  বলে জানায় কৃষি বিভাগ। 
কৃষি বিভাগ আরও জানায়, এবার জুলাই মাসে গড় বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮ দশমিক ৫ মিলিমিটার।  আমনের চারা রোপণের জন্য তুলনামুলক বৃষ্টিপাত কম হওয়ার ফলে রোপা আমনের চারা রোপণে কিছুটা  সমস্যায় পড়েন জেলার কৃষকরা। এ অবস্থায় সেচ সুবিধার আওতায় ২ হাজার ৩৬০টি গভীর ও অগভীর নলকূপের পানি দিয়ে  আমনের চারা লাগানোর জন্য কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয় বলে বাসস’কে জানান,  জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষন কর্মকর্তা কৃষিবিদ এনামুল হক।     
উল্লেখ্য, গত ২০২২-২৩ রোপা আমন চাষ মৌসুমে জেলায় ৭১ হাজার ৩শ ৪০ হেক্টর জমিতে রোপা আমনের চাষ হয়েছিল। এতে চাল উৎপাদন হয়েছিল ২ লাখ ৫১ হাজার ৫ শ ৮২ মেট্রিক টন। যা জেলার খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে অন্যত্র সরবরাহ করা সম্ভব হয়েছিল বলে জানায় কৃষি বিভাগ । 

 

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়