শিরোনাম
মেহেরপুর, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন যখন তুঙ্গে তখনও মেহেরপুর ছিল শান্ত। সারাদেশে মিছিল মিটিং হলেও মেহেরপুরে কোনো মিছিল মিটিং করেনি ছাত্র সমাজ। তবে এর মারাত্মক প্রভাব পড়েছিল ছোট-বড় সব ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে।
২৮ জুলাই মেহেরপুর শহরে লোকজনের উপস্থিতি ছিল স্বাভাবিক। তবে পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছিল। একসাথে তিন চারজন চলাচল করলেও তাদের বাধা দেওয়া হচ্ছিল। এদিন কোটা সংস্কার আন্দোলন থেমে গেছে মনে করে শান্তিপ্রিয় জনগণের মধ্যে এক ধরনের স্বস্তির ভাব লক্ষ্য করা যায়। মেহেরপুরের বাসিন্দারা টেলিভিশনসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সারা দেশের খবরাখবর পেলেও এদিন তেমন কোন প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি মানুষের মধ্যে।
মেহেরপুরের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক শিক্ষক খন্দকার মুইজ উদ্দীন বলেন, ‘২০২৪ সালের ২৮ জুলাই অন্যান্য জেলার শিক্ষার্থীদের সাথে কথা হয় । সবার মনেই একটা হতাশা এই ভেবে যে, আন্দোলন শেষমেশ থেমে যেতে পারে। আমার মনেও হতাশা উঁকি দিয়ে গেল। মনে হল, একটা পরিবর্তনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছিল, সেটাও কি শেষ হয়ে যাবে!’
তিনি বলেন, ‘অতীত অভিজ্ঞতা থেকে জানতাম মেহেরপুর আন্দোলন করা অনেক কঠিন কাজ। সামাজিক বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে আগে বেশ কয়েকবার মানববন্ধন করেছি। সেখানেই মানুষ পাওয়া খুবই কঠিন হয়েছে। আর এটা তো একটা ক্ষমতাসীন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন। এখানে প্রশাসনের পোষা বাহিনী আছে। তাদের দমন নিপীড়নের ভয় আছে। এই অবস্থায় কতজন মানুষকে পাশে পাওয়া যাবে সেটাও অনিশ্চিত।
তিনি আরো বলেন, ‘সারাদিন নিজের কাজ আর ক্লাসের ফাঁকে সবার সাথে আলোচনা করি। রাত দশটার পরে আমার এক বন্ধুর সাথে চা খেতে বের হই। দুজন মিলে আলোচনা করেও মেহেরপুরে আন্দোলন গড়ে তোলার কোনো সম্ভাবনা দেখতে পেলাম না। এখানকার মানুষ খুব শান্তিপ্রিয় এবং ভীত। তাই কোনো আন্দোলনেই তাদের পাশে পাওয়া যায় না!’