শিরোনাম
জাহিদুল ইসলাম
নরসিংদী, ২৮ জুলাই, ২০২৫ (বাসস): গণঅভ্যুত্থান চলাকালে ২০২৪ সালের ১৯ জুলাই নরসিংদী জেলা কারাগারে হামলার ঘটনার পর ব্যাপক গণগ্রেপ্তার শুরু হয়। এ ঘটনার পর তদন্তের নামে জেলাজুড়ে শুরু হয় হয়রানি। শুধু হামলার ঘটনায় দায়েরকৃত ১১ মামলায় প্রায় ২ হাজার অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছিল।
আন্দোলনকারীদের দমন করতে ধারাবাহিকভাবে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের নরসিংদী কারাগার পরিদর্শনের ঘটনাও ঘটে। এসব অভিযানে ও তদন্ত কার্যক্রমে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য ও বিরোধীদের দমন নীতির অভিযোগ ওঠে সে সময়। এতে আন্দোলনে অনেকটা ভাটা পড়ে। তবে, আন্দোলনকারীরা থেমে যাননি।
জেলখানায় হামলার ঘটনার তদন্তে গঠিত ৬ সদস্যের উচ্চপর্যায়ের কমিটি গতবছর আজকের দিনে জেলার কারাগার পরিদর্শনে আসে। সকাল ১০টার দিকে কমিটির সদস্যরা কারাগারে ঢুকে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা, বাসভবন, আসামিদের সেল, ইউনিট ও হাসপাতাল ঘুরে দেখেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন এলাকার ব্যবসায়ী, সাংবাদিক, প্রত্যক্ষদর্শী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
তবে আন্দোলনকারীরা এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে ‘প্রহসন’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তাদের দমানোর এ-ই প্রহসনের তদন্ত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দিতে ব্যর্থ হয়। আন্দোলন আরও বেগবান হতে থাকে।
নরসিংদী জেলা বিএনপির সহ-ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক মো. শরীফ আহমেদ বলেন, ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দমন-পীড়নে অতিষ্ঠ হয়ে জনগণ শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নেমেছিল। অথচ শেখ হাসিনার নির্দেশে আন্দোলনরত ছাত্রদের ওপর পুলিশ কারাগারের প্রধান ফটক থেকে গুলি চালালে জেলখানায় হামলার ঘটনা ঘটে। সেই ঘটনাকে পুঁজি করে আমাদের ভয় দেখানো হচ্ছিল।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটি গঠন করে দমননীতি চালানো হচ্ছে। আমি সরকারের প্রতি অনুরোধ করবো, যেন সে সময়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনা হয়।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক ও হামলায় আহত কর্মী, নরসিংদী সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আহমেদ ইসলাম বলেন, জেলখানা হামলার পর রাতে নিজের বাসায় থাকতে পারিনি। একের পর এক বাসা পাল্টাতে হয়েছে। নিরপরাধ মানুষদের গণহারে গ্রেপ্তারের ভয় দেখানো হয়েছিল। সে দিনগুলো খুব ভয়াবহ ছিল।