বাসস
  ০২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৩৪

ইন্দোনেশিয়ার ভিডিওকে খাগড়াছড়ির বলে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা

ঢাকা, ২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): ইন্দোনেশিয়ার ভিডিওকে খাগড়াছড়ির বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টির অপচেষ্টা শনাক্ত করেছে প্রেস ইনস্টিটিউট বাংলাদেশের (পিআইবি) ফ্যাক্ট চেক ও মিডিয়া রিসার্চ টিম বাংলাফ্যাক্ট।

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, ভিডিওটি খাগড়াছড়ির নয়, ইন্দোনেশিয়ার। খাগড়াছড়ির সাম্প্রতিক ইস্যুতে ফেসবুকে একটি ভিডিও ছড়িয়ে দাবি করা হয়েছে, পাহাড়ি লোকজন সেনাবাহিনীকে ধাওয়া দিয়েছে। আর সেই ধাওয়া খেয়ে সেনাবাহিনী পালিয়ে যাচ্ছে। 

অনুসন্ধানে জানা যায়, ভিডিওটি আসলে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়ার সরোং শহরের। গত আগস্টের শেষ দিকে সেখানে চার বন্দিকে সরোং থেকে মাকাসারে স্থানান্তরের সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ভাইরাল ভিডিওটি সেই ঘটনারই।

বাংলাফ্যাক্ট অনুসন্ধান টিম জানায়, ভিডিওটির কিছু স্থিরচিত্র রিভার্স ইমেজ সার্চে দেখা যায়, এটি ‘আনজিন কুরিমা’ নামক একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা হয়। 

পোস্টের ক্যাপশনে উল্লেখ করা হয়, ‘সোরং, পশ্চিম পাপুয়া পরিস্থিতি, ২৭ আগস্ট ২০২৫। গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের মাকাসারে স্থানান্তরের প্রতিবাদে সোরং সিটিতে ইন্দোনেশীয় জাতীয় সশস্ত্র বাহিনী (টিএনআই) এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে সংঘাত দেখা দিয়েছে।’

একই ভিডিও একাধিক ইউটিউব চ্যানেল থেকেও প্রচারিত হয়েছে, যেখানে এটিকে ইন্দোনেশিয়ার সরোং শহরের ঘটনা হিসেবেই উল্লেখ করা হয়েছে। 

এ বিষয়ে ইন্দোনেশিয়ার সংবাদমাধ্যমও প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়, ২০২৫ সালের ২৭ আগস্ট সোরং থেকে চার বন্দিকে মাকাসারে স্থানান্তরের প্রতিবাদে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয় এবং পরিস্থিতি অস্থির হয়ে ওঠে।

বাংলাফ্যাক্ট জানায়, খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি লোকজন সেনাবাহিনীকে ধাওয়া দিয়েছে-এমন দাবি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো ভিডিওটি আসলে ইন্দোনেশিয়ার পশ্চিম পাপুয়ার সরোং শহরের।

গত বছর থেকে ভারতীয় গণমাধ্যম এবং ভারত থেকে পরিচালিত বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, পাশাপাশি দেশীয় কিছু ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকেও বাংলাদেশকে জড়িয়ে অন্তর্বর্তী সরকার, সম্প্রতি খাগড়াছড়ি ইস্যু এবং ‘চব্বিশের আন্দোলনে’ অংশ নেওয়া দল ও সংগঠনের বিরুদ্ধে গুজব ও ভুয়া তথ্য প্রচারের হার বেড়েছে বলে প্রমাণ পেয়েছে ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠানগুলো।

বাংলাদেশের ফ্যাক্ট-চেকিং প্রতিষ্ঠান বাংলাফ্যাক্ট ইতোমধ্যে ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়া শত শত ভুল তথ্য শনাক্ত করেছে। 

দেশজুড়ে চলমান গুজব, ভুয়া খবর ও অপতথ্য প্রতিরোধ এবং জনগণের কাছে সঠিক তথ্য পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্ব পালন করছে বাংলাফ্যাক্ট।