শিরোনাম

ঢাকা, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে বাণিজ্য ও উন্নয়ন খাতে পারস্পরিক সহযোগিতা জোরদারের লক্ষ্যে ব্যাংককে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ফরেন ট্রেড ইনস্টিটিউট (বিএফটিআই) এবং থাইল্যান্ডের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ট্রেড অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (আইটিডি)-এর মধ্যে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় বলে আজ ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশের পক্ষে সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জাতিসংঘ এসকাপে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী। অন্যদিকে আইটিডি’র পক্ষে স্বাক্ষর করেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক সুপাকিত চারনকুল।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- ঢাকায় থাই দূতাবাসের ডিপুটি চিফ অব মিশন সুপাওয়াদি, বিএফটিআই-এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ (ভার্চুয়ালি), বাংলাদেশ দূতাবাসের ইকনমিক কাউন্সেলর সারোয়ার আহমেদ সালেহীন এবং প্রথম সচিব (রাজনৈতিক) মো. সামাউন খালিদ।
চুক্তি অনুযায়ী, বিএফটিআই ও আইটিডি শিক্ষা, গবেষণা, প্রশিক্ষণ, মানবসম্পদ উন্নয়ন এবং নীতি বিশ্লেষণ খাতে যৌথভাবে কাজ করবে। তারা একসঙ্গে গবেষণা, সেমিনার, কর্মশালা ও প্রশিক্ষণ কর্মসূচি আয়োজনের পাশাপাশি একাডেমিক ও নীতিগত জ্ঞান বিনিময় করবে।
বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ফাইয়াজ মুরশিদ কাজী আশা প্রকাশ করেন যে, এই সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) বাস্তবায়নের জন্য যৌথ সম্ভাব্যতা যাচাই কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী প্রতিনিধি ও অংশীজনদের সম্পৃক্ত করে একটি পর্যালোচনামূলক সেমিনার আয়োজনের প্রস্তাব দেন।
বিএফটিআই’র ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ড. সাইফ উদ্দিন আহম্মদ বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতোমধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও বৈচিত্র্যকরণে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জন করেছে। এলডিসি থেকে উত্তরণের পর দেশের বাণিজ্যিক ও প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে এই সহযোগিতা বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। এই এমওইউ উভয় প্রতিষ্ঠানের জন্য জ্ঞান বিনিময়, যৌথ গবেষণা, প্রশিক্ষণ ও উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ড পরিচালনার নতুন সুযোগ সৃষ্টি করবে, যা শুধু দুই দেশের নয়, গোটা এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্যও উপকার বয়ে আনবে।’
আইটিডি’র নির্বাহী পরিচালক সুপাকিত চারনকুল বলেন, ‘ভবিষ্যতে বাণিজ্য, বিনিয়োগ, দক্ষতা উন্নয়ন এবং নীতি গবেষণার ক্ষেত্রে আরও নিবিড় সহযোগিতা গড়ে তোলাই আমাদের লক্ষ্য। উভয় প্রতিষ্ঠানই টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের জন্য বাণিজ্যকে অন্যতম চালিকাশক্তি হিসেবে ধরে রাখতে একসাথে কাজ করবে।’
বিএফটিআই বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি গবেষণাভিত্তিক থিঙ্ক ট্যাংক, যা বাংলাদেশের বৈদেশিক বাণিজ্য ব্যবস্থাপনাকে আধুনিক ও সক্ষম করে তুলতে গবেষণা, প্রশিক্ষণ এবং নীতিগত সহায়তা প্রদান করে আসছে। অন্যদিকে, আইটিডি থাইল্যান্ডের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন একটি আন্তর্জাতিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান, যা জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনসিটিএডি)-এর সহযোগিতায় প্রতিষ্ঠিত। আইটিডি থাইল্যান্ডসহ এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলের উন্নয়নশীল দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি ও বাণিজ্য সম্প্রসারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।