বাসস
  ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭:৪০

সন্ত্রাসীদের নির্মূলে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে : সিএমপি কমিশনার 

বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় কথা বলেন সিএমপি কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি হাসিব আজিজ । ছবি : বাসস

চট্টগ্রাম, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : চট্টগ্রাম মহানগরীতে পুলিশ ছাড়া অন্য কোন প্রাইভেট বাহিনী বা সন্ত্রাসী গ্রুপ থাকতে পারবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়ে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) কমিশনার ও অতিরিক্ত আইজিপি হাসিব আজিজ বলেছেন, সাজ্জাদ বাহিনী, লাল্টু বাহিনী, পল্টু বাহিনী- এই সমস্ত বাহিনী নির্মূল করতে হবে। নির্মূল মানে নির্মূল। প্রয়োজনে সন্ত্রাসীদের দমনে যে কোন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণে পুলিশ পিছপা হবে না। 

নির্বাচনকে কেন্দ্র করে একটি ‘ভীতি সঞ্চার’ করার পরিকল্পনা চলছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘বিতাড়িত স্বৈরাচার এবং তাদের বিদেশি প্রভুরা বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা করছে। নির্বাচনটি তাদের জন্য একটি ‘লিটমাস টেস্ট’। তারা যেন এই টেস্টে ফেইল করে, সেজন্য আমাদের যা করার করতে হবে।’

আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের আয়োজনে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় সিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন। প্রেস ক্লাবের কর্ণফুলী হলে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাসিব আজিজ বলেন, পুলিশের লুণ্ঠিত অস্ত্রের ৮০ শতাংশ উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ অস্ত্র পাহাড়ি এলাকার বিচ্ছিন্নতাবাদী গ্রুপের হাতে চলে গেছে বলে তথ্য রয়েছে। তবে নির্বাচনের আগে এসব উদ্ধারে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলছে।

সিএমপি কমিশনার বলেন, অস্ত্র উদ্ধারে পুলিশ তৎপর রয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামে যেসব ভোট কেন্দ্রে সংখ্যালঘু ভোটার বেশী সেসব কেন্দ্রে বাড়তি সতর্কতা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

বিগত সরকারের সমালোচনা করে হাসিব আজিজ বলেন, ‘রাষ্ট্রের বিভিন্ন অঙ্গগুলো যদি একটি অ্যালাইনমেন্টে চলে আসে, তবে রাষ্ট্রব্যবস্থায় বিপর্যয় ঘটে। গত ১৭ বছরে আমরা দেখেছি প্রশাসন, বিচার বিভাগ, পুলিশ ও সাংবাদিক-সবাই এক অ্যালাইনমেন্টে চলে এসেছিল। ফলে দেশে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম হয়েছিল।’

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে অভিহিত করে হাসিব আজিজ বলেন, ‘১৮ কোটি মানুষের মধ্যে ড. ইউনূস একমাত্র ব্যক্তি যিনি দেশে ও বিদেশে সমানভাবে সমাদৃত। তাঁকে ব্যর্থ হতে দেওয়া যাবে না।’

পুলিশ সদস্যদের আচরণের বিষয়ে নিজের নির্দেশনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমি আমার সহকর্মীদের বলি- ইউ মাস্ট বি ফার্ম ইন ইউর অ্যাটিটিউড, বাট ভেরি পোলাইট ইন ইউর বিহেভিয়ার। পুলিশিং উইথ আ স্মাইলিং ফেস। একজন সাংবাদিক বা সাধারণ নাগরিকের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা যাবে না।’

চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সভাপতি জাহিদুল করিম কচির সভাপতিত্বে ও চ্যানেল ওয়ানের ব্যুরো প্রধান শাহনেওয়াজ রিটনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও দৈনিক আজাদী সম্পাদক এম এ মালেক। আরো বক্তব্য রাখেন- পিপলস ভিউ সম্পাদক ওসমান গণি মনসুর, দৈনিক কালের কণ্ঠের ব্যুরো প্রধান মুস্তফা নঈম, প্রেস ক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মিয়া মো. আরিফ ও কার্যকরী সদস্য সালেহ নোমান, রফিকুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ। 

সভায় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।