শিরোনাম

ঢাকা, ১৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে কসমেটিকস আমদানির আড়ালে বিপুল পরিমাণ রাজস্ব ফাঁকির ঘটনায় চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটি দায়ের করা হয় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-১ এ।
আজ দুদক প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগের সহকারী পরিচালক মো. তানজির আহমেদ এ তথ্য জানান।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন— সাবেক কাস্টমস রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল আলম, গ্যাবি ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ কাসিফ ফোরকান, সাই অ্যান্ড কোং লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মোস্তফা কামাল চৌধুরী এবং কাস্টম হাউস (আমদানি) চট্টগ্রামের অবসরপ্রাপ্ত এপ্রেইজার মো. শওকত আনোয়ার চৌধুরী।
মামলার আসামি এম আর কর্পোরেশনের স্বত্ত্বাধিকারী মোহাম্মদ হারুন শাহ বর্তমানে মৃত হওয়ার তাকে চার্জশিট থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
দুদকের তদন্তে উঠে আসে, ২০১০ সালে মেসার্স গ্যাবী ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে আমদানিকৃত কসমেটিকস পণ্যের প্রকৃত এইচএস কোড গোপন করে কম শুল্কযুক্ত কোড ব্যবহার করে পণ্য খালাস করা হয়। এ কাজে আমদানিকারক, সিএন্ডএফ এজেন্ট ও কাস্টমসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা পরস্পর যোগসাজশে জাল ইনভয়েস, প্যাকিং লিস্ট ও জাহাজী দলিল ব্যবহার করেন।
পুনঃশুল্কায়নে আমদানিকৃত পণ্যের উপর শুল্ক-কর নির্ধারিত হয় ৮১ কোটি ৭৯ লাখ ৫৯ হাজার ৫৯৫ টাকা। অথচ মাত্র ৮৬ হাজার ৮৪০ টাকা পরিশোধ করে অবশিষ্ট ৮০ কোটি ৯২ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫৫ টাকা আত্মসাৎ করা হয় বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়।
এই ঘটনায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪০৯, ৪২০, ৪৬৭, ৪৬৮, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় চার্জশিট দাখিল করা হয়েছে।