বাসস
  ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১:২৯
আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ২১:৩৯

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দিল দক্ষিণ কোরিয়া

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ২৫ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জীবনমান উন্নয়নে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থাকে (আইওএম) ৫০ লাখ ডলার সহায়তা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া।

আজ মঙ্গলবার আইওএম-এর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই সহায়তা আট বছরের বেশি সময় ধরে চলমান সংকটে বসবাসরত ৪ লাখ ২০ হাজারের বেশি রোহিঙ্গার জন্য জরুরি সেবা নিশ্চিত করবে।

এই অর্থায়নে আইওএম অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ সাতটি ক্যাম্পে জীবনরক্ষাকারী পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) কার্যক্রম জোরদার করবে এবং ১৭টি ক্যাম্পের ৪১ হাজার ৫০০ রোহিঙ্গা পরিবারের জন্য নিয়মিত তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) সরবরাহের মাধ্যমে নিরাপদ রান্নার জ্বালানি নিশ্চিত করবে।

দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তায় আইওএম ক্যাম্পগুলোর পানি ও স্যানিটেশন সুবিধার নির্ভরযোগ্যতা ও নিরাপত্তা উন্নত করবে, স্বাস্থ্যবিধি প্রচার জোরদার করবে এবং নারী, কন্যাশিশু, প্রবীণ ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিসহ ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক পানি, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেবা নিশ্চিত করবে।

প্রকল্পের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো— রোহিঙ্গা পরিবারের রান্নার জ্বালানির প্রয়োজন মেটানো। এলপিজি বিতরণ শুধু নিরাপদ ও পরিচ্ছন্ন রান্নার জ্বালানি নিশ্চিত করে না, এটি খাদ্য নিরাপত্তা ও পুষ্টিতে অবদান রাখে, বন উজাড় কমায় এবং স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাস করে। এটি বিশেষ করে নারী ও কিশোরীদের জন্য সুরক্ষা বৃদ্ধি করে, যারা জ্বালানি সংগ্রহের সময় লিঙ্গভিত্তিক সহিংসতার ঝুঁকির মুখে পড়ে।

বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক বলেন, চলতি বছরেও কোরিয়া রোহিঙ্গাদের জন্য তার মানবিক সহায়তায় দৃঢ় অবস্থান বজায় রেখেছে। 

তিনি বলেন, এ বছর আমাদের সহায়তার মধ্যে রয়েছে— ১ কোটি মার্কিন ডলার অর্থায়ন এবং বিপুল চাল সরবরাহ, যা রোহিঙ্গা সম্প্রদায়ের প্রতি কোরিয়ার অটল প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।

তিনি বলেন, কোরিয়া আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অংশীদারদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যাতে রোহিঙ্গা শরণার্থী ও আশ্রয়দাতা জনগোষ্ঠী উভয়েই প্রয়োজনীয় সহায়তা পায়, পাশাপাশি ভবিষ্যতের জন্য টেকসই সমাধান নিশ্চিত করা যায়।

আইওএম বাংলাদেশ মিশনের প্রধান ল্যান্স বোনো বলেন, এই সহায়তা সরাসরি মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, মর্যাদা ও স্থিতিশীলতাকে সমর্থন করে।

২০১৭ সালের আগস্টে জরুরি পরিস্থিতি শুরু হওয়ার পর থেকে দক্ষিণ কোরিয়া বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর সংকট মোকাবিলায় ধারাবাহিকভাবে সহায়তা দিয়ে আসছে।