শিরোনাম

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ (বাসস): স্বর্ণ ও হীরা চোরাচালানের মাধ্যমে অবৈধভাবে অর্জিত ৬৭৮ কোটি টাকা মানিলন্ডারিংয়ের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট গতকাল মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ (সংশোধনী-১৫) এর ৪(২) ও ৪ ধারায় গুলশান থানায় এ মামলা করে।
সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার (মিডিয়া) জসীম উদ্দিন খান স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজার থেকে চোরাচালানের মাধ্যমে স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করে অবৈধ উপায়ে অর্জিত মোট ৬৭৮ কোটি ১৯ লাখ ১৪ হাজার ১৪ টাকা মানিলন্ডারিং হয়েছে।
গত বছর ২৯ সেপ্টেম্বর সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের আর্থিক নথি, ব্যাংক হিসাব ও লেনদেন পর্যালোচনা করে তদন্ত শুরু করে এবং চোরাচালান ও উৎসহীন অর্থের প্রমাণ পায়।
তদন্তে দেখা যায়, প্রতিষ্ঠানটি ২০০৬ সালের ৬ সেপ্টেম্বর থেকে গত বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এলসির মাধ্যমে মোট ৩৮ কোটি ৪৭ লাখ ৪৮ হাজার ১১.৫২ টাকা মূল্যের স্বর্ণবার, অলংকার, লুজ ডায়মন্ড ও অন্যান্য দ্রব্য আমদানি করেছে। একই সময়ে স্থানীয় বাজার থেকে ৬৭৮ কোটি টাকার বেশি স্বর্ণ ও হীরা সংগ্রহ করলেও, এর বৈধ উৎস বা সরবরাহকারী সম্পর্কিত কোন নথি দেখাতে পারেনি। ফলে এসব স্বর্ণ ও হীরা অবৈধভাবে দেশে আনা হয়েছে বলে সিআইডি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্ত ৫৭ বছর বয়সী আগরওয়ালা ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ও ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের স্বত্বাধিকারী হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে স্বর্ণ ও হীরা ব্যবসার আড়ালে অবৈধ অর্থ পাচার ও চোরাচালান কার্যক্রম পরিচালনা করছে বলে অনুসন্ধানে উঠে এসেছে।
চোরাচালান ও অপরাধলব্ধ অর্থ রূপান্তরের প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ার পর অনুসন্ধান প্রতিবেদন অতিরিক্ত আইজিপি (সিআইডি) বরাবর পাঠানো হয়। গুলশান থানায় করা মামলাটি সিআইডির তফসিলভুক্ত হওয়ায় তদন্ত করবে সিআইডিই।
নথি, ব্যাংক লেনদেন ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্য যাচাই করে আইন অনুযায়ী কঠোর তদন্ত করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।