শিরোনাম

ঢাকা, ১৮ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস): সরকারি ক্রয়ে সুশাসন জোরদার ও স্বচ্ছতা, দক্ষতা এবং প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে নতুন পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর), ২০২৫-এর কিছু বিধিমালা আরও স্পষ্ট করা হয়েছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সচিব) এস. এম. মঈন উদ্দিন আহম্মেদ সই করা পরিপত্রে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন, ২০০৬-এর উদ্দেশ্য পূরণকল্পে বর্ণিত মূলনীতিসমূহের প্রতিপালন নিশ্চিতে গত ২৮ সেপ্টেম্বর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০২৫ গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে এবং অবিলম্বে কার্যকর হয়।
জারি হওয়ার পর নতুন পিপিআর-এর বিধি ১৫৪-এর প্রয়োগের ক্ষেত্রে ক্রেতা ও দরপত্রদাতারা ক্রয়সংশ্লিষ্ট অন্যান্য অংশীজন কর্তৃক উত্থাপিত বিভিন্নরূপ প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে বিপিপিএ কিছু স্পষ্টীকরণ করেছে।
দরপত্র, কোটেশন বিজ্ঞপ্তি বা প্রস্তাব দাখিলের অনুরোধপত্র জারির মাধ্যমে যে সকল ক্রয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে, তার সকল ধাপে নতুন পিপিআর কার্যকর হবে।
তবে পিপিআর ২০২৫ জারির আগের দিন পর্যন্ত দরপত্র, কোটেশন বা আবেদন দাখিলের অনুরোধপত্র জারির মাধ্যমে কোন ক্রয় প্রক্রিয়া হয়ে থাকলে ওই দরপত্র, কোটেশন বা আবেদন পিপিআর, ২০০৮-এর আলোকে মূল্যায়নের মাধ্যমে চুক্তি সম্পাদনের নোটিশ জারি করা যাবে।
উল্লেখিত সময়ে কোন আগ্রহব্যক্তকরণের অনুরোধপত্র জারি করা হলে, তার বিপরীতে পিপিআর, ২০০৮ অনুসরণে সংক্ষিপ্ত তালিকা প্রণয়ন ও অনুমোদনপূর্বক নতুন পিপিআর-এর অধীন ক্রয়ের পরবর্তী ধাপসমূহ নিষ্পত্তি করতে হবে।
পিপিআর, ২০০৮-এর অধীন গৃহীত কোন ক্রয়চুক্তির ক্ষেত্রে ইতোমধ্যে নতুন পিপিআর-এ বর্ণিত বিভিন্ন মূল্যসীমা বা সময়সীমা অতিক্রান্ত হলেও তা ২০০৮ সালের পিপিআর অনুযায়ীই নিষ্পত্তি করতে হবে।
উল্লেখ্য, পিপিআর-২০২৫-এ মোট ১৫৪টি বিধি ও ২১টি তফসিল রয়েছে। পিপিআর-২০০৮ থেকে ২০২৫ পর্যন্ত প্রায় সবগুলো বিধিতে কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে এবং নতুন বিধি যুক্ত করা হয়েছে।
তবে উপরোক্ত নির্দেশনা এবং পিপিআর ২০২৫-এর বিধি ১৫৪(১) অনুযায়ী, নতুন পিপিআর জারি হওয়ার পর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা, ২০০৮ রহিত হলেও কিছু বিষয়ে অস্পষ্টতা দেখা দেয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) বিষয়টি স্পষ্ট করার জন্য পরিপত্র জারি করেছে।