শিরোনাম

ঢাকা, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও সাবেক এমপি মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেছেন, জনগণের আশা-আকাক্ষা পূরণে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বেই গণভোট আয়োজন এবং জুলাই জাতীয় সনদের সংস্কার বাস্তবায়ন জরুরি।
তিনি আরও বলেন, সরকারের কিছু পদক্ষেপে একটি বিশেষ দলকে খুশি করার চেষ্টা করা হচ্ছে, যা সরকারের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তৈরি করছে। সরকার যদি নিরপেক্ষতা বজায় রাখে, তাহলে ৮ দল তাদের সঙ্গে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর মগবাজার আল ফালাহ মিলনায়তনে আন্দোলনরত ৮ দলের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। এর আগে সকালে একই স্থানে ৮ দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দের এক বৈঠক জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক ভাষণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘দেশে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট সমাধানের লক্ষ্যে জামায়াতসহ ৮ দল ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ বাস্তবায়নের ওপর ভিত্তি করে ৫-দফা গণদাবি জাতির সামনে উপস্থাপন করেছে। এই ৫-দফা দাবির বাস্তবায়নে ৮ দল আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণ নিয়ে জাতির প্রত্যাশা ছিল উচ্চে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে গণভোট আয়োজনের যে দাবি জানানো হয়েছিল, তা উপেক্ষিত হয়েছে। একই দিনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের ঘোষণা জনগণের প্রত্যাশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। একটি দলের দাবিকে প্রাধান্য দিয়ে সরকার তাদের দিকে ঝুঁকেছে-এমন ধারণা জনগণের মধ্যে তৈরি হয়েছে। ফলে সংকটের সমাধান না হয়ে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে।
মিয়া গোলাম পরওয়ার প্রশাসনে নিরপেক্ষ কর্মকর্তা নিয়োগের প্রয়োজনীয়তার ওপরও জোর দেন। তিনি বলেন, নির্বাচনের মাঠ সমতল করতে ডিসি-এসপিসহ সকল পর্যায়ে নিরপেক্ষ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দিতে হবে। প্রশাসনের মধ্যে একটি বিশেষ দলের প্রতি আনুগত্যশীল লোক নিয়োগ করা হলে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, দেশের মানুষ ‘হ্যাঁ’ ভোট ও সংস্কারের পক্ষে, আর যারা ‘না’ ভোটের প্রচারণা করছে তারা সংস্কার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় না। ৮ দলের লিয়াজোঁ কমিটির আলোচনার মাধ্যমে পরবর্তী কর্মসূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে বলেও তিনি জানান।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতি সৈয়দ মো. রেজাউল করিম (পীরসাহেব, চরমোনাই), সিনিয়র প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা মুসাদ্দিক বিল্লাহ মাদানী ও মহাসচিব অধ্যক্ষ হাফেজ মাওলানা ইউনুস আহমাদ, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের আমির মাওলানা মামুনুল হক, সিনিয়ির নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ ও মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন, খেলাফত মজলিসের আমির অধ্যক্ষ মাওলানা আব্দুল বাছিত আজাদ, যুগ্ম মহাসচিব মুহাম্মাদ মুনতাসির আলী ও অধ্যাপক আবদুল জলিল, বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা আবদুল মাজেদ আতহারী ও অর্থসচিব মাওলানা আনোয়ারুল কবির, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ইকবাল হোসাইন, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির চেয়ারম্যান এড. আনোয়ারুল হক চান ও মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম এবং বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের মহাসচিব মাওলানা ইউসুফ সাদিক হাক্কানী ও জয়েন্ট সেক্রেটারি মো. রুকনুজ্জামান (রতন)।