বাসস
  ০৩ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:২৭

এনামুল হক খান ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের জন্য বাজুস সভাপতি নির্বাচিত

এনামুল হক খান । ফাইল ছবি

ঢাকা, ৩ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : ডায়মন্ড এ্যান্ড ডিভাসের স্বত্বাধিকারী এনামুল হক খান দ্বিতীয়বারের মতো ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের জন্য বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন।

আজ সকালে বাজুসের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেন নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল। 

বাজুসের উপদেষ্টা রুহুল আমিন রাসেলের সঞ্চালনায় এ সময় বক্তব্য দেন বাজুস নির্বাচন বোর্ডের সদস্য এস. কে. মজিবুর রহমান ইকবাল ও মো. রকিবুল আলম দীপু, ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ, নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদের সভাপতি এনামুল হক খান দোলন, সিনিয়র সহ-সভাপতি রনজিৎ ঘোষ, সহ-সভাপতি আজাদ আহমেদ, অভিরায় ও ইকবাল হোসেন চৌধুরী জুয়েল। 

আরও বক্তব্য দেন বাজুসের বর্তমান কমিটির সহসভাপতি এম. এ. হান্নান আজাদ ও কার্যনির্বাহী সদস্য আনোয়ার হোসেন।

বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত করায় দেশের সকল জুয়েলারি ব্যবসায়ীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘বাজুস প্রায় ৪০ হাজার সদস্যের একটি পরিবারে পরিণত হয়েছে। উন্নয়ন কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা রক্ষায় আমি নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাবো।’

নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণাকালে নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যান নাসরিন ফাতেমা আউয়াল বলেন, ‘সকলের সহযোগিতায় আমরা ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের নির্বাচন সম্পন্ন করতে পেরেছি। আশা করছি নবনির্বাচিত কমিটি দেশের জুয়েলারি শিল্পে যেসব সমস্যা আছে তা সমাধানে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।’

তিনি আরও বলেন, আমার বিশ্বাস যারা জুয়েলারি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত তাদের এই কমিটি আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে পরিচিতি এবং বাংলাদেশের পণ্য সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম হবে।

বাজুসের নবনির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট মো.ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের জুয়েলারি শিল্প আমাদের ঐতিহ্যের অংশ এবং আজ এটি দেশের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ খাতে পরিণত হয়েছে। দেশে বর্তমানে প্রায় ৪০ হাজার জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান এবং ১০ থেকে ১২ লাখ কারিগর এই শিল্পে কাজ করছেন। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে সোনার বার্ষিক চাহিদা সরকারি হিসাবে ৩০ থেকে ৪০ টন, আর বেসরকারি হিসাবে ৭০ থেকে ৯০ টন। এ চাহিদার বড় অংশই আসে পুনর্ব্যবহৃত সোনা থেকে।  আমাদের দেশে প্রায় ৪ লাখ কোটি টাকার সোনার বাজার ও ৩০ হাজার কোটি টাকার হীরার বাজার রয়েছে।’ 

তিনি আরও বলেন, এত বড় বাজার থাকা সত্ত্বেও  উচ্চ কর-শুল্ক, জটিল আমদানি প্রক্রিয়া এবং আধুনিক উৎপাদন অবকাঠামোর ঘাটতির কারণে এই খাত থেকে সরকারের রাজস্ব আয় এখনো প্রত্যাশিত নয়। প্রাথমিক কাঁচামাল ও মেশিনারিজ আমদানিতে ৩০ থেকে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত শুল্ক উৎপাদন ব্যয় বাড়িয়ে দিচ্ছে, ফলে আধুনিক ফ্যাক্টরি স্থাপনও  ধীরগতিতে এগোচ্ছে।

বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন বাজুস নির্বাচন বোর্ড ঘোষিত ফলাফলের তথ্যানুযায়ী সংগঠনটির ২০২৫-২০২৭ মেয়াদের পরিচালনা পর্ষদে সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন ডায়মন্ড এন্ড ডিভাস’র স্বত্বাধিকারী এনামুল হক খান, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন সানন্দা জুয়েলার্স (প্রাঃ) লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক রনজিৎ ঘোষ, ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন আপন ডায়মন্ড হাউজ এর স্বত্বাধিকারী আজাদ আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছে জড়োয়া হাউজ (প্রাঃ) লি. এর পরিচালক অভিরায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছেন জেসিএক্স গোল্ড এন্ড ডায়মন্ড এর স্বত্বাধিকারী, এফবিসিসিআই এর সাবেক পরিচালক ও সার্ক চেম্বারের পরিচালক মো. ইকবাল হোসেন চৌধুরী। নবনির্বাচিত পরিচালনা পর্ষদে কোষাধ্যক্ষ নির্বাচিত হয়েছেন অমিত ঘোষ। 

নির্বাচিত ২৯ জন পরিচালক হলেন- মো. মিলন মিয়া, পবন কুমার আগরওয়াল, তানভীর রহমান, মো. লিটন হাওলাদার, কর্ণধার বাবলু দত্ত, গনেশ দেবনাথ, আশিস কুমার মন্ডল, মিজানুর রহমান, বিকাশ ঘোষ, সুমন চন্দ্র দে, মোস্তফা কামাল, কর্ণধার ধনঞ্জয় সাহা (বিপুল), শ্রীবাস রায়, মো. আলী হোসেন, কর্ণধার মো. রুবেল, মো. নয়ন চৌধুরী, মো. ছালাম, ফাহাদ কামাল লিংকন, গৌতম ঘোষ, মোহাম্মদ রবিউল ইসলাম, মো. তারেকুল ইসলাম চৌধুরী, আবু নাসের মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, মো. রফিকুল ইসলাম, সৌমেন সাহা, আককাছ আলী, মোহাম্মদ মোরশেদ আলম, শাওন আহম্মেদ চৌধুরী, মো. নাজমুল হুদা লতিফ এবং পলাশ কুমার সাহা।