শিরোনাম

বরগুনা, ১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই সনদ কীভাবে বাস্তবায়ন করবে, তা জনসমক্ষে স্পষ্ট করার পরই জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সনদে স্বাক্ষর করবে বলে জানিয়েছেন দলটির দক্ষিণাঞ্চলের প্রধান সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
আজ শনিবার জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এনসিপির বরগুনা ইউনিটের এক সমন্বয় সভা শেষে সাংবাদিকদের উদ্দেশে হাসনাত বলেন, ‘সরকার এই সনদ পর্যালোচনার জন্য উন্মুক্ত করার পরই আমরা এতে সই করব।’
হাসনাত বলেন, সনদের সংস্কার কর্মসূচি কীভাবে বাস্তবায়ন হবে, তা নিয়ে বিভিন্ন মতামত রয়েছে। কেউ কেউ বলছেন এটি পরবর্তী সংসদের মাধ্যমে হওয়া উচিত, আবার কেউ কেউ গণভোটের মাধ্যমে এটি কার্যকর করার পক্ষে মত দিচ্ছেন। তবে এনসিপি বিশ্বাস করে, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সনদটির অনুমোদন এবং একটি ‘গণপরিষদের’ মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন করা উচিত।
তিনি বলেন, ‘জুলাই সনদ কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের জন্য আগামী সংসদের দ্বৈত ভূমিকা থাকা উচিত-এটি একাধারে সাধারণ আইনসভা এবং গণপরিষদ হিসেবে কাজ করবে।’
তিনি বলেন, এনসিপি বিশ্বাস করে একটি সাংবিধানিক আদেশের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এটি অনুমোদন করার পর গণপরিষদের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন হবে।
এ সময় ‘শাপলা’ প্রতীক বরাদ্দ না দেওয়ায় নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কাছে লিখিত আইনি ব্যাখ্যা দাবি করেন এনসিপির এই নেতা।
নির্বাচন কমিশন প্রতীক বরাদ্দের নীতি বা নির্দেশিকা স্পষ্ট করেনি উল্লেখ করে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন কোন নীতির আলোকে অন্যান্য দলকে প্রতীক বরাদ্দ দিচ্ছে আমরা তা জানতে চেয়েছি। যদি তারা আমাদের শাপলা প্রতীক না দেয়, তবে লিখিত আইনি ব্যাখ্যা দিতে হবে।’
সংস্কার এবং শাপলা প্রতীক ইস্যুতে এনসিপির দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘সংস্কার বা শাপলা প্রতীক বিষয়ে আমরা আমাদের অবস্থান পরিবর্তন করিনি।
আমাদের অবস্থান স্পষ্ট ও সামঞ্জস্যপূর্ণ।’
সমন্বয় সভায় জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংগঠনিক সম্পাদক (বরিশাল বিভাগ) মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব ও শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ শান্ত বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।