বাসস
  ০১ নভেম্বর ২০২৫, ১৭:৪১

বাংলাদেশে লিভার রোগ চিকিৎসার পথিকৃৎ অধ্যাপক ডা. মবিন খানকে শ্রদ্ধায় স্মরণ

প্রখ্যাত চিকিৎসক, শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক ডা. মবিন খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাসস

ঢাকা, ১ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশে লিভার রোগ চিকিৎসা ও শিক্ষায় বিপ্লব ঘটানো প্রখ্যাত চিকিৎসক, শিক্ষক ও গবেষক অধ্যাপক ডা. মবিন খানের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ বাংলাদেশ মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএমইউ) এক স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএমইউ সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতালের লেকচার হলে আয়োজিত এই সভার আয়োজন করে বিএমইউর হেপাটোলজি বিভাগ, হেপাটোলজি সোসাইটি এবং এসোসিয়েশন ফর দ্য স্ট্যাডি অব লিভার ডিজিজেস বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ডা. মো. শাহিনুল আলম।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ডা. শাহিনুল আলম বলেন, “অধ্যাপক ডা. মবিন খান ছিলেন গতিময় জীবনের অধিকারী ও সময়ানুবর্তিতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। প্রতিদিন সকাল ৮টার আগেই অফিসে এসে কাজ শুরু করতেন। প্রতিকূল পরিস্থিতিতেও কাজ এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর দৃঢ়তা ও নিষ্ঠা ছিল অতুলনীয়। তিনি ছিলেন একজন ধার্মিক, পরিপূর্ণ ক্লিনিক্যাল এক্সপার্ট এবং অনুসরণীয় শিক্ষক। তাঁর মতো নিখুঁত কাজের কারিগর চিকিৎসা সমাজে বিরল।”

তিনি আরও বলেন, “বর্তমান চিকিৎসক ও রেসিডেন্টদের উচিত মবিন খান স্যারের আদর্শ ও গুণাবলী অনুসরণ করা। না হলে উচ্চতর মেডিক্যাল শিক্ষা ভবিষ্যতে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে। চিকিৎসা পেশাকে আরও উজ্জ্বল করতে আমাদের তাঁর কর্মপ্রেরণাকে ধারণ করতে হবে।”

বিএমইউর প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. মুজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, “তিনি ছিলেন কর্মব্যস্ত ও একনিষ্ঠ মানুষ। একাডেমিক ও গবেষণাক্ষেত্রে তাঁর অবদান অপরিসীম। চিকিৎসা শিক্ষার মানোন্নয়ন ও গবেষণার প্রসারে তিনি যে পথ তৈরি করেছেন, তা আজও আমাদের অনুপ্রেরণা জোগায়। গণমানুষের চিকিৎসাসেবায় তাঁর ভূমিকা তাঁকে চিরস্মরণীয় করে রেখেছে।”

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন অধ্যাপক ডা. মো. নজরুল ইসলাম, অধ্যাপক ডা. মো. সেলিমুর রহমান, অধ্যাপক ডা. এম এ কাশেম খন্দকার, অধ্যাপক ডা. ফজলুল হক, বিসিপিএস-এর সেক্রেটারি অধ্যাপক ডা. এ বি এম জামাল, এসোসিয়েশন ফর দ্য স্ট্যাডি অব লিভার ডিজিজেস বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ডা. আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, ডা. মোস্তাক আহমেদ এবং ডা. শাহেদ আহমেদ সেতু।

এছাড়া স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য দেন অধ্যাপক ডা. মবিন খানের সহধর্মিণী মিসেস মুনা খান। সভাটি সঞ্চালনা করেন হেপাটোলজি সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মো. গোলাম আজম এবং বিএমইউর হেপাটোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাইফুল ইসলাম।

স্মৃতিচারণ পর্ব শেষে বিএমইউর হেপাটোলজি বিভাগে অধ্যাপক ডা. মবিন খানের স্মরণে একটি ডিজিটাল ক্লাসরুমের উদ্বোধন করা হয়। তাঁর পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে উদ্বোধনকৃত এই শ্রেণিকক্ষটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের চিকিৎসা শিক্ষার্থীদের জন্য অনুপ্রেরণার প্রতীক হয়ে থাকবে।