শিরোনাম
রাজশাহী, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের মোস্তাকুর রহমান জাহিদ নির্বাচিত হয়েছেন।
এছাড়া জিএস পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার ও এজিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন।
আজ শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান ফলাফল ঘোষণা করেন। এই ফলাফল ঘোষণার মধ্য দিয়ে দেশের অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো রাকসুতেও বড় বিজয় অর্জন করেছে বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেল।
সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের ভিপি প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) ১২ হাজার ৬৮৭টি ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। একই পদে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) ভোট পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭টি।
জিএস (সাধারণ সম্পাদক) পদে আধিপত্যবিরোধী ঐক্য প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ১১ হাজার ৪৯৭টি। তার নিকটতম শিবিরের প্যানেলের জিএস প্রার্থী ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক।
ফাহিম রেজাও সাবেক সমন্বয়ক।
শীর্ষ তিন পদের এজিএসে (সহ-সাধারণ সম্পাদক) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে শিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি ভোট পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৫টি। তার নিকটতম ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের জাহিন বিশ্বাস এষা পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ ভোট।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত টানা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯টি ভবনের ১৭টি কেন্দ্রে ১৭ হলের শিক্ষার্থীরা ভোট প্রদান করেন। এছাড়াও হল কমিটির ১৭টির ১৭টিতেই বিজয় অর্জন করেছে ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেলের প্রার্থীরা।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজী নজরুল ইসলাম মিলনায়তনে ভোট গণনা শুরু হয়।
পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে নারী হল দিয়ে ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়।
নির্বাচনে ১০টি প্যানেলসহ রাকসুর ২৩ পদে ২৪৭ জন, হল সংসদে ১৫ পদে ১৭টি হলে ৫৯৭ প্রার্থী এবং সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন ও এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।
নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ২৮ হাজার ৯০১। এর মধ্যে ছাত্রী ভোটার ১১ হাজার ৩০৫ জন ও ছাত্র ভোটার ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। এর মধ্যে ৬টি নারী হলে ভোট পড়েছে ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ।
সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে নেওয়া হয় ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা। তিন স্তরের নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়। পুলিশের পাশাপাশি র্যাব ও বিজিবি সদস্য দায়িত্ব পালন করে।
বিজয়ের পর আজ সকালে ভিপি, জিএস ও এজিএস এবং বিজয়ী প্রার্থীরা সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংকালে জানান, সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ ক্যাম্পাস বিনির্মাণে তারা কাজ করবেন। এ জন্য সবার কাছে তারা দোয়া ও সহযোগিতা চেয়েছেন।