বাসস
  ১৩ অক্টোবর ২০২৫, ২২:১২

সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুদকের অভিযান

ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫(বাসস): রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা প্রদানে ঘুস দাবি ও নানাবিধ হয়রানি-অনিয়মের অভিযোগে একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

দুদক প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ বিভাগ থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আজ এ তথ্য জানানো হয়েছে।

দুদক জানায়, অভিযানের শুরুতে টিম ছদ্মবেশে হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড পরিদর্শন করে। এ সময় হাসপাতালের ভেতরে ও বাইরে দালালদের ব্যাপক উপস্থিতি পরিলক্ষিত হয়। টিম অভিযোগ পায় যে, দালালরা রোগীদের ওয়ার্ডে ভর্তি করানো ও বেড বরাদ্দের জন্য ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত দাবি করছে। এছাড়া, হাসপাতালের বিভিন্ন কার্যক্রমে নিয়োজিত আউটসোর্সিং কর্মচারীরাও রোগীদের জন্য ফ্রি ব্যবহারের ট্রলি ও বেড ব্যবহারের ক্ষেত্রে একইভাবে ৫০০-১০০০ টাকা পর্যন্ত অর্থ দাবি করে- এমন অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। এনফোর্সমেন্ট টিম উদঘাটিত অনিয়ম ও হয়রানির বিষয়গুলো হাসপাতালের পরিচালককে অবহিত করলে তিনি দালালদের দৌরাত্ম্য প্রতিরোধ ও আউটসোর্সিং নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ভবিষ্যতে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার বিষয়ে টিমকে আশ্বস্ত করেন। পরবর্তীতে টিম হাসপাতালের ভেতরে সরকারি সরবরাহকৃত ওষুধ বাইরে বিক্রির অভিযোগ যাচাইয়ের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট স্টক রেজিস্টার, ভাউচারসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে।

এদিকে, টাঙ্গাইলে সড়ক ও জনপদ অধিদপ্তরের (সওজ) ঠিকাদার কর্তৃক কাজ সম্পূর্ণ গ্রহণ না করেই প্রায় ৫ কোটি টাকার অগ্রিম বিল উত্তোলনের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে অপর একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযানকালে নিরপেক্ষ প্রকৌশলীসহ অভিযোগে উল্লিখিত রাস্তাসমূহ সরেজমিন পরিদর্শন ও পরিমাপ গ্রহণ করা হয়। সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা যায়, অধিকাংশ রাস্তার সংস্কারকাজ সম্পন্ন না করেই গত জুন মাসে বিল উত্তোলন করা হয়েছে, যা অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতার প্রমাণ বহন করে।

এছাড়া, নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলায় অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আবাসন নির্মাণ প্রকল্পে সুবিধাভোগীদের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার ও নানাবিধ অনিয়মের অভিযোগে আরও একটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে টিম একজন নিরপেক্ষ প্রকৌশলীর মাধ্যমে সরেজমিনে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট প্রকল্পসমূহ পরিমাপ করে। পরিমাপকৃত তথ্য ও ফলাফল যাচাইয়ের লক্ষ্যে প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ডপত্র উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে সংগ্রহ করা হয়।

এসব অভিযানে প্রাপ্ত প্রতিবেদন ও সংগৃহীত রেকর্ডপত্রগুলো পর্যালোচনা শেষে টিম কমিশন বরাবর বিস্তারিত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে বলে জানিয়েছে দুদক।