শিরোনাম
ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : পুলিশের গাড়ি পোড়ানোর অভিযোগে বিশেষ ক্ষমতা আইনে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)’র স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ও দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীসহ ১৬৭ জনকে অব্যাহতি দিয়েছেন ঢাকার একটি আদালত।
আজ পুলিশের দেওয়া চূড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে, তাদের মামলার দায় হতে অব্যাহতি প্রদান করেন ঢাকা মহানগর দায়রা জাজ আদালতে বিচারক সাব্বির ফয়েজ।
মির্জা আব্বাসের আইনজীবী মহি উদ্দিন চৌধুরি বাসস’কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
অব্যাহতি পাওয়া উল্লেখযোগ্যরা হলেন— বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি আফরোজা আব্বাস, বিএনপি’র ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) আকতারুজ্জামান, দলটির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন, বিএনপি নেতা নবীউল্লাহ নবী, হাবিবুর রশিদ হাবীব, বেলাল আহমেদ, অধ্যাপক আমিনুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম মজনু, জহির উদ্দিন তুহিন ও সেলিম ভুইয়াসহ প্রমুখ।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর বিএনপি নেত্রী আফরোজা আব্বাসের নেতৃত্বে একটি মিছিল ফকিরাপুলের দিক থেকে শো-ডাউন করে নয়া পল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে।
এরপর নবী উল্লাহ নবী ও কফিল উদ্দিনের নেতৃত্বে অপর দুইটি মিছিল শো-ডাউন করে একই দিক থেকে আসতে থাকে এবং সর্বশেষ মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে ৮-১০ হাজার জনের একটি মিছিল নয়া পল্টনে বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আসে। তারা নয়াপল্টনে ভিআইপি রোড বন্ধ করে মিছিল ও শো-ডাউন করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে।
পুলিশ তাদের রাস্তার এক লেন ছেড়ে দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখা ও জনদুর্ভোগ সৃষ্টি না করার অনুরোধ করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়। পূর্ব পরিকল্পিতভাবে মির্জা আব্বাসের নেতৃত্বে আসামিরা অবৈধ জনতাবদ্ধে বিএনপির পার্টি অফিস থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে নয়পল্টনে ভিআইপি রোডে হকস বে নামে গাড়ির শো রুমের উত্তর পাশে রাস্তায় পুলিশের একটি সরকারি ডাবল কেবিন পিকাপ পুড়িয়ে দেয়।
আসামিরা সরকারি কাজে বাধা দিয়ে অতর্কিতে পুলিশকে আক্রমণ করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। আসামিরা রাস্তার পাশে ডিউটিরত এসির (পেট্রোল-মতিঝিল) সরকারী মিটসুবিসি প্রাইভেট কারে আগুন ধরিয়ে দেয়।
ঘটনার দিনই পল্টন থানার উপ-পরিদর্শক মো. আল আমিন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলাটি তদন্ত শেষে চলতি বছরের ২১ ফেব্রুয়ারি মির্জা আব্বাসসহ ১৬৭ জনকে অব্যাহতির আবেদন করে আদালতে চূড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশ।
আজ পুলিশের দেওয়া চুড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণের জন্য দিন ধার্য ছিল। আদালত চুড়ান্ত প্রতিবেদন গ্রহণ করে মামলার দায় হতে মির্জা আব্বাসসহ ১৬৭ জনকে অব্যাহতি প্রদান করেন।
অব্যাহতি প্রাপ্ত সকলই বিএনপির নেতা-কর্মী।