বাসস
  ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১৭:০৬

শরীয়তপুরে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন

শরীয়তপুর, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ (বাসস): জেলার জাজিরা থানার সেনেরচর মাদবর কান্দিতে দ্বিতীয় স্ত্রীকে হত্যা করে ঘরের ভিতরে মাটি চাপা দেয়ার মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে স্বামী ইলিয়াস শিকদারকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। 

আজ রোববার দুপুরে শরীয়তপুরের বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ মো. সোলাইমান এ রায় প্রদান করেন।  অভিযুক্ত  ইলিয়াছ সিকদার পলাতক রয়েছেন।

মামলার বিবরণ ও আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৭ সালের ৩০ নভেম্বর  রাত আনুমানিক ১টায় জাজিরা থানার সেনের চর ইউনিয়নের মাদবর কান্দি গ্রামের ইলিয়াছ সিকদার তার দ্বিতীয় স্ত্রী আলেয়া বেগমকে তারই প্রথম স্ত্রী রত্না বেগমের সহযোগিতায় নির্মম ভাবে হত্যা করে। হত্যার পর নিজের বসত ঘরের বারান্দায় মাটি খুঁড়ে লাশ চাপা দেয়।

পরের দিন প্রথম স্ত্রী রত্না মাটিচাপার স্থান মাটি দিয়ে লেপন করে দেয়। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ হাচেন আলী স্থানীয়দের সহায়তায় ঘটনাস্থলের মাটি খুঁড়ে লাশের সন্ধান পায়। 

ঘটনাটি জাজিরা থানা পুলিশকে জানানো হলে তারা একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উত্তোলন করে ময়না তদন্ত করে লাশ দাফন করে। নিহত আলেয়ার পরিবারের কোন সন্ধান করতে না পেরে পুলিশ বাদী হয়ে স্বামী ইলিয়াছ সিকদার, তার প্রথম স্ত্রী রত্না বেগম ও ইলিয়াছের ভাই সেকান্দার সিকদারসহ ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। এ মামলায় মোট ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি ইলিয়াছ সিকদারকে ৩০২ ধারায় সন্দোহাতীতভাবে দোষী সাব্যস্ত করে আজ রোববার তাকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়। একই ঘটনায় স্ত্রীর লাশ গুমের অপরাধে ২০১ধারায় দোষী সাব্যস্ত করে ইলিয়াছ সিকদারকে ৫ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৪ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডাদেশ প্রদান করা হয়। 

একই মামলার অপর দুই আসামি রত্না বেগম ও  সেকান্দার সিকদার নির্দোষ প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। ঘটনার পর থেকে আসামি ইলিয়াছ সিকদারসহ অপর দুই আসামি পলাতক রয়েছে।

সরকার পক্ষে বিজ্ঞ পিপি অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান খান দিপু ও স্টেট ডিফেন্স হিসাবে অ্যাডভোকেট শাহ আলম আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন ।