শিরোনাম
রাজশাহী, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ক্যাশলেস লেনদেন শুধু লেনদেনকে সহজই করে না বরং আর্থিক খাতে দুর্নীতি কমাতে, স্বচ্ছতা আনতে এবং সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেও সাহায্য করে।
তাছাড়া, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ক্যাশলেস লেনদেন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ক্যাশলেস বাংলাদেশ গড়তে রাজশাহীতেও সবাইকে এগিয়ে এসে একসাথে কাজ করা উচিত।
আজ বুধবার রাজশাহী জেলায় ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ কার্যক্রম সম্প্রসারণ বিষয়ক সেমিনারে সিনিয়র ব্যাংকার ও বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্যোগে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হলো ‘ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগ’ কর্মসূচি। লিড ব্যাংক হিসেবে এই কর্মসূচির আয়োজন করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও ব্র্যাক ব্যাংক যৌথভাবে জেল ট্রেনিং সেন্টারের অডিটোরিয়ামে এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে ডিজিটাল অর্থনীতিকে কীভাবে এগিয়ে নেওয়া যায় এবং ক্যাশলেস লেনদেনকে জনপ্রিয় করে তোলা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
সেমিনারে বলা হয়, ক্যাশলেস বাংলাদেশ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো ডিজিটাল লেনদেনকে উৎসাহিত করা এবং প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধির মাধ্যমে ডিজিটাল লেনদেনের প্রচার ও নগদ নির্ভরতা হ্রাস করা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক রাফেজা আক্তার কান্তার সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগের কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন, ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক রিফাত উল্লাহ খান, বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালক শরাফত উল্লাহ খান এবং নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান।
কমিশনার খন্দকার আজিম আহমেদ বলেন, ক্যাশলেস লেনদেনের দিকে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে সারাবিশ্ব, বাংলাদেশও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। আমাদের দেশের লোকজন ইতোমধ্যেই মোবাইল আর্থিক পরিষেবায় কিউআর কোড স্ক্যান করে ও বিভিন্ন ওয়ালেটের মাধ্যমে ডিজিটালি লেনদেন করছে, অনলাইনে পেমেন্ট করছে।
তবে তিনি বলেন, এই উদ্যোগকে তৃণমূল পর্যায়ে আরো বেশি করে পৌঁছে দেওয়ার জন্য বাড়তি জনসচেতনতা প্রয়োজন। গ্রামীণ জনগণের কাছে ব্যাংকিং পরিষেবা সম্প্রসারণের ওপর সর্বোচ্চ জোর দেওয়া উচিত এবং ব্যবসায়ীদের এক্ষেত্রে এগিয়ে আসা দরকার।
তারেক রিফাত উল্লাহ খান বলেন, ক্যাশলেস অর্থনীতি কেবল নিরাপদ ও স্বচ্ছ লেনদেন নিশ্চিতই করে না, বরং দেশের অর্থনীতিকেও বেগবান করে। দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পাশাপাশি রাজস্ব আয় সহজ করতে এটি অত্যন্ত সহায়ক।
তিনি প্রযুক্তি-ভিত্তিক ব্যাংকিং ব্যবস্থাকে শক্তিশালী ও সুরক্ষিত করার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের সঙ্গে পরিচিত করার প্রয়োজনের ওপর জোর দেন।