শিরোনাম
ঢাকা, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫(বাসস) : বাংলাদেশ হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভ (বিএইচসিআই) কর্মসূচির আওতায় এখন পর্যন্ত ৫ লাখ ১৮ হাজার ১৪৮ জন রোগী উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা সেবার আওতায় এসেছেন।
এসব রোগী বিনামূল্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে ওষুধ পাচ্ছেন। যাদের মধ্যে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার ৫৭ শতাংশ। শুধু ঢাকা বিভাগেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ১ লাখ ১৩ হাজার ১৯২ জন রোগী। তাদের মধ্যে ৫৮ শতাংশেরই রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার বিভাগীয় পরিচালকের (স্বাস্থ্য) কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিভাগীয় সমন্বয় সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।
সভায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি (এনসিডিসি), ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন অফ বাংলাদেশ ও রিজলভ টু সেভ লাইভস-এর সহায়তায় পরিচালিত কার্যক্রম বিএইচসিআই-এর অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা হয়।
সভায় বিএইচসিআইয়ের ডিভিশনাল প্রোগ্রাম অফিসার মো. সাজ্জাদ হোসেন এবং সার্ভিলেন্স মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আহসান-উজ-জামান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
তারা জানান, দেশে মোট মৃত্যুর ৭১ শতাংশের জন্য দায়ী অসংক্রামক রোগগুলো, যার ৩৪ ভাগই উচ্চ রক্তচাপ ও তদসংশ্লিষ্ট কার্ডিওভাসকুলার রোগ। এ প্রেক্ষাপটে সরকারের এনসিডিসি কর্মসূচির আওতায় বিএইচসিআই বর্তমানে দেশের ৪৪টি জেলার ৩১০টি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। তারা আরও জানান, ডিজিটাল হেলথ অ্যাপ (এনসিডি-বিডি অ্যাপস প্রস্তাবিত) ব্যবহারের ফলে রোগী ট্র্যাকিং, ফলোআপ ও চিকিৎসা সেবা আরও কার্যকর হয়েছে। এর ফলে উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের হার ২০ শতাংশ থেকে বেড়ে ৬০ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
সভায় ঢাকা বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেশে অসংক্রামক রোগজনিত মৃত্যুর হার উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। তাই সরকার দেশের সবগুলো উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সের এনসিডি কর্নারের মাধ্যমে উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের জন্য বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করছে।
ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতাল ও রিসার্চ ইনস্টিটিউটের রোগতত্ত্ব ও গবেষণা বিভাগের প্রধান ও বিএইচসিআইয়ের পরিচালক অধ্যাপক ডা. সোহেল রেজা চৌধুরী জানান, দেশে প্রায় ২৪.৬ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন, কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র ৭ ভাগের এক ভাগ নিয়মিত চিকিৎসা নিয়ে নিজের রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সক্ষম হয়েছেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি শাখার লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক সৈয়দ জাকির হোসেন বক্তব্য রাখেন।