বাসস
  ১৬ জুলাই ২০২৫, ০০:২৮

শুল্ক কমিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা শক্তিশালী করার পরামর্শ আমির খসরুর

ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা, ১৫ জুলাই ২০২৫ ( বাসস) : বাংলাদেশি পণ্যে সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আনতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে অন্তর্বর্তী সরকারের আলোচনা শক্তিশালী করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। আজ মঙ্গলবার ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর তিনি এই মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের ট্যারিফ নিয়ে আমরা আজ শিল্পপতিদের সাথে কথা বলেছি, বিশেষ করে রফতানিকারক বড় শিল্পপতি যারা জড়িত আছেন তাদের সাথে কথা বলেছি, বিজনেস লিডার যারা আছেন তাদের সাথে কথা বলেছি, তাদের মতামত শুনেছি, তারা সবাই মনে করছেন এই নেগোসিয়েশনটাকে শক্তিশালী করতে হবে।'

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন,  'এখানে ইন্ডাস্ট্রির একটি বিষয় আছে, গার্মেন্টস সেক্টরের মতো একটা বড় বিষয় আছে, সাপ্লায়ার্স অ্যাসোসিয়েশনের একটি বিষয় আছে, এখানে নিরাপত্তাজনিত কিছু বিষয় আছে এবং সেখানে আবার রাজনৈতিক দলগুলোর মতামতের একটা বিষয় আছে, এ বিষয়গুলো আলোচনায় এসেছে।

তিনি বলেন, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে একটা সুষ্ঠু সমাধান দরকার, আজকে আমরা আলোচনায় বসেছি। আমরা বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের  মতামতগুলোসহ আমাদের বিষয়টা সরকারকে জানাবো।

তিনি বলেন, 'বিষয়টা এককভাবে কিছু করার নয়, সমন্বিতভাবে চেষ্টা করতে হবে যাতে এ থেকে আমাদের অর্জন করা যায়, সেই চেষ্টা আমাদের থাকবে।'

৮ জুলাই প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, বাংলাদেশের পণ্য আমদানিতে তারা ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপ করবেন, যা ১ আগস্ট থেকে কার্যকর হবে। এরপর থেকে সরকার যুক্তরাষ্ট্রের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসে।

বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের পণ্যে যুক্তরাষ্ট্র এই বাড়তি শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। অন্যদিকে পোশাক বাণিজ্যে বাংলাদেশের প্রতিযোগী ভিয়েতনাম ইতোমধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তি করে শুল্ক ২০ শতাংশে নামিয়ে এনেছে। ভারতও চুক্তির কাছাকাছি পৌঁছে গেছে।

বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, শুল্কের বিষয়ে বাংলাদেশও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে একটি চুক্তিতে আসার চেষ্টা করছে। সেজন্য আলোচনাও চলছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে দ্বিতীয় দফা আলোচনা শেষে দেশে ফিরে গতকাল সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বসিরউদ্দিন বলেন, ‘আলোচনা ইতিবাচক’।

বৈঠকে ব্যবসায়িক নেতাদের মধ্যে ছিলেন ইন্টারন্যাশনাল চেম্বার অব কমার্স (আইসিসি) বাংলাদেশের সভাপতি মাহবুবুর রহমান, সহসভাপতি এ কে আজাদ ও সিমিন রহমান, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি আনোয়ার-উল আলম চৌধুরী, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (এমসিসিআই) সভাপতি  কামরান তানভিরুর রহমান, বিজেএমইএ’র সভাপতি মাহমুদ হাসান খান, সাবেক সভাপতি মীর নাসির হোসেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি তাসকিন আহমেদ, বিকেএমইএ’র সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, বিটিএমএ’র সভাপতি শওকত আজিজ রাসেল, স্কয়ার ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন চৌধুরী, প্রাণ গ্রুপের চেয়ারম্যান আহসান খান চৌধুরী, লেদার গুডস অ্যান্ড মেন্যুফেকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সৈয়দ নিজাম মনসুর, সিরামিক মেন্যুফেকচারারস অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মাইনুল ইসলাম, ইকোনমিক জোনস ইনভেস্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এম এ জাব্বার, বাংলাদেশ টেরি টাওয়েল অ্যান্ড লিনেন ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিটিটিএলএমইএ) সভাপতি এম শাহাদাত হোসেন।

আমির খসরুর সঙ্গে দলের চেয়ারপার্সনেট উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য তাসভীরুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন ছিলেন।