বাসস
  ০৪ জুলাই ২০২৫, ১৯:১৬

মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের পর ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার মূলহোতা গ্রেফতার 

ছবি: সংগৃহীত

ঢাকা, ৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : কুমিল্লার মুরাদনগরে নারীকে নির্যাতনের পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার মূলহোতা মো. শাহ পরান (২৮) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১১। 

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) রাতে র‌্যাব-১১ এর আভিযানিক দল কুমিল্লার বুড়িচং থানার কাবিলা বাজার এলাকা থেকে মো. শাহ পরানকে গ্রেফতার করে। এ সময় তার কাছ থেকে একটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

আজ শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র‌্যাব-১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এইচ এম সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেন, গ্রেফতারকৃত শাহ পরান ও অভিযুক্ত ফজর আলী আপন দুই ভাই। বাহেরচর গ্রামের শহিদের বড় ছেলে ফজর আলী ও ছোট ছেলে শাহ পরান দীর্ঘদিন ধরে ভুক্তভোগী নারীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিল। ঘটনার দুই মাস আগে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিরোধের জেরে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। 

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গ্রাম্য শালিসে জনসম্মুখে বড় ভাই ফজর আলী তার ছোট ভাই শাহ পরানকে চর-থাপ্পর মারে। শাহ পরান তার বড় ভাইয়ের ওপর প্রতিশোধ নেয়ার জন্য সুযোগের সন্ধানে থাকে। শালিসের কিছুদিন পর ভুক্তভোগী নারীর মা ফজর আলীর কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা সুদের বিনিময়ে লোন নেয়।

ঘটনার দিন ভুক্তভোগী নারীর বাবা-মা বাড়িতে না থাকার সুযোগে ফজর আলী সুদের টাকা আদায়ের অজুহাতে রাত সাড়ে ১১টার দিক কৌশলে ওই নারীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করে। 

একই সময় পূর্বপরিকল্পিতভাবে ভুক্তভোগী নারীর বাড়ির আশপাশে অবস্থান করা শাহ পরান ও ফজর আলীর পূর্বশত্রু একই গ্রামের আবুল কালামসহ অনিক, আরিফ, সুমন, রমজানসহ ৮ থেকে ১০ জন দরজা ভেঙে প্রবেশ করেই ভুক্তভোগীকে শারীরিক নির্যাতন, শ্লীলতাহানি ও অশ্লীল ভিডিও চিত্র ধারণ করে এবং পরে ওই ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।

ঘটনার পর মূলহোতা শাহ পরানসহ আবুল কালাম ও অন্য আসামিরা আত্মগোপন করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতার শাহ পরান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে।

গ্রেফতারকৃত শাহ পরানের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কুমিল্লার মুরাদনগর থানায় তাকে হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।