বাসস
  ০২ জুলাই ২০২৫, ১৯:১৩

বিভিন্ন দাবিতে বাংলাদেশ মেরিনার্স কমিউনিটির মানববন্ধন

ছবি: বাসস

ঢাকা, ২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ভিসা সমস্যার সমাধান, বেকার ক্যাডেট ও রেটিংসদের চাকরি নিশ্চিত করাসহ ডিপ্লোমাধারীদের সিডিসি প্রদানের সিদ্ধান্ত বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন করেছে বাংলাদেশ মেরিনার্স কমিউনিটি।

আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। 

সংগঠনের মুখ্য সংগঠক ক্যাপ্টেন রেদওয়ান সিকদারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা সাইফুল হক, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, এনসিপি নেত্রী দ্যুতি অরণ্য চৌধুরী, মেরিন ক্যাপ্টেন আতিক, ইঞ্জিনিয়ার মাসুদ রানা, ক্যাপ্টেন সাজ্জাদ, ইঞ্জিনিয়ার  জিলানী, চিফ অফিসার কায়কোবাদ, ইঞ্জিনিয়ার সাইফুল, শেরশাহ, ইঞ্জিনিয়ার বজলুল রহমান প্রমুখ।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ভিসা সমস্যার কারণে দুবাইয়ের জাহাজ কোম্পানিগুলোতে কয়েক শত মেরিন অফিসার, ইঞ্জিনিয়ার এবং রেটিং সাইন অফ, সাইন অন করতে পারছে না। বাংলাদেশ বিপুল পরিমাণ রেমিট্যান্স হারাচ্ছে। 

ফিলিপাইন এবং ভারতের নাবিকদের যেমন ইউরোপ, আমেরিকা এবং আরব দেশগুলোতে ওকেটু বোর্ড ভিসার ব্যবস্থা আছে, বাংলাদেশিদের জন্যও সেই সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

সাইফুল হক বলেন, বেকার ক্যাডেট এবং রেটিংসদের চাকরি নিশ্চিত করতে দেশীয় পতাকাবাহী জাহাজে ক্যাডেট, ফ্রেশ রেটিং দ্বিগুণ করতে হবে। ডিপ্লোমাধারীদের সিডিসি প্রদানের অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত বাতিল করতে হবে।

অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, বিশ্বের যেসব দেশে প্রচুর জাহাজ কোম্পানি আছে সেইসব দেশে একজন করে মেরিটাইম কাউন্সিলর নিয়োগ করা যেতে পারে। যারা বাংলাদেশি নাবিকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত ও  নাবিকদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন। 

তিনি আরও বলেন, সরকার অনেক অর্থ ব্যয় করে নাবিক তৈরির অনেক প্রতিষ্ঠান করেছে। এখন চাকরির বাজার সৃষ্টি করার ব্যাপারে আরো জোরালো পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠার পর এক পর্যায়ে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনের বহরে ৩৯টি জাহাজ-ট্যাংকার যুক্ত থাকলেও এখন মাত্র পাঁচটি জাহাজ। বাংলাদেশ একমাত্র লাভজনক রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান  শিপিং কর্পোরেশন (বিএসসি) যদি একশ’ জাহাজ ক্রয় করে, তবে পণ্য আমদানি করতে বাংলাদেশেকে আর বিদেশি জাহাজ ভাড়া করতে হবে না এবং এক বছরের মধ্যে দেশের রিজার্ভ বেড়ে হবে ১০০ বিলিয়ন ডলার। ২০ হাজার নাবিক পরিবারকেও তাদের জীবিকা নিয়ে আর চিন্তা করতে হবে না।

বক্তারা বাংলাদেশের পতাকাবাহী জাহাজের সংখ্যা বাড়াতে বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান।

তারা বলেন, চীনের সাড়ে ১১ হাজারের বেশি নিজস্ব জাহাজ রয়েছে। চীনের মালিকানাধীন জাহাজ গুলোতে পায় ৪ লাখ ফিলিপাইন ও ভিয়েতনামের মেরিনার কর্মরত রয়েছে। 

তারা বলেন, বাংলাদেশের নাবিকদের দক্ষতা এবং সুনাম অন্য দেশের তুলনায় অনেক বেশি থাকা সত্ত্বেও ভূরাজনৈতিক কূটনীতিক তৎপরতার অভাবে চীনের মালিকানাধীন শিপিং কোম্পানিগুলোতে কাজের সুযোগ পাচ্ছে না। যার ফলে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন ডলার বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ হাতছাড়া হচ্ছে।