শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ জুন, ২০২৫ (বাসস) : ঢাকার কেরানীগঞ্জে ১৪ বছরের এক কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় সৎ পিতা মোতাহারের মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪।
একই সঙ্গে তার এক লাখ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
আজ ঢাকা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিকে কারাগার থেকে আদালতে উপস্থিত করা হয়। রায় ঘোষণা শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি ঢাকার কেরানীগঞ্জের মৃত রিফাজের পুত্র মো. মোতাহার (৪১)। তার স্থায়ী ঠিকানা বগুড়া জেলার শিবগঞ্জ থানার আটমূল ইউনিয়নের কুড়াহার গ্রামে।
মামলার নথি সূত্রে জানা যায়, আসামি মো. মোতাহার ভুক্তভোগী নারীর সৎ পিতা। ভুক্তভোগীর মা রোকসানার সঙ্গে আসামি মোতাহারের দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে তিনি তার মা ও সৎ পিতার সঙ্গে একত্রে বসবাস করতেন। আলাদা ঘরের ব্যবস্থা না থাকায়, সবাই একই ঘরে থাকতেন। সৎ বাবা মোতাহার বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগীকে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন, তবে ভুক্তভোগী তাতে রাজি হননি।
পরে ২০২১ সালের ২০ জুন রাত আনুমানিক ১০টায় আসামি মোতাহার ভুক্তভোগীকে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন।
ধর্ষণের সময় তিনি ভিকটিমকে হুমকি দেন যে, ঘটনা কাউকে জানালে তাকে হত্যা করবেন। ফলে ভুক্তভোগী প্রথমে বিষয়টি কাউকে জানাননি। পরবর্তীতে ২২ সেপ্টেম্বর আসামি পুনরায় ভুক্তভোগীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন আসামি মোতাহার।
এ ঘটনার পর একই বছরের ২৪ সেপ্টেম্বর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী কিশোরীর মা।
মামলার পর তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতার হওয়ার পর আসামি স্বেচ্ছায় দোষ স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত শেষে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক আবুল হাসান।
এ মামলার বিচার চলাকালে মোট ৮ জন ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন।