শিরোনাম
ঢাকা, ১৬ জুন, ২০২৫ (বাসস) : যশোরের চৌগাছায় নির্যাতনের শিকার ৭ বছরের এক শিশুর পাশে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নিপীড়িত নারী ও শিশুদের জন্য দলীয়ভাবে সহায়তায় গঠিত বিএনপির স্বাস্থ্য সহায়তা সেলু এর প্রধান সমন্বয়ক এবং বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম আজ সোমবার যশোর সদর হাসপাতালে শিশুটিকে দেখতে যান।
এসময় তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিত। তারা শিশুটির শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেন এবং তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পরিবারের হাতে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন
অনিন্দ্য ইসলাম অমিত বিশেষ সেল গঠন করে নিপীড়িত নারী ও শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে ধন্যবাদ জানান এবং সেলের প্রতিনিধিদের অবদানকে কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করেন।
স্বাস্থ্য সহায়তা সেলের প্রধান সমন্বয়ক ডা. মো. রফিকূল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতনের বিষয়টি উপলব্ধি করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান গত মার্চ মাসে নিপীড়িত নারী ও শিশুদের জন্য স্বাস্থ্য ও আইনি সহায়তা সেল গঠন করেন।
তিনি বলেন, এই সেলের মাধ্যমে দেশে আলোচিত আছিয়া কাণ্ডসহ বিভিন্ন নির্যাতনের ঘটনার আইনি ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। খুলনা, যশোরসহ প্রতিটি জেলা ও বিভাগীয় সাংগঠনিক ইউনিটের মাধ্যমে নিপীড়িত নারী ও শিশুদের পাশে দাঁড়াতে কাজ করছি।
তিনি আরও বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পর নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধানের শীষে ভোট দেওয়ার অপরাধে চার সন্তানের জননীকে সংঘবদ্ধ নির্যাতনের ঘটনা এখনো দেশবাসীর স্মরণে রয়েছে। তখনও বিএনপি একইভাবে নির্যাতিতার পাশে দাঁড়িয়েছিল। আমরা অতীতেও ছিলাম, ভবিষ্যতেও থাকবো।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিচারপ্রক্রিয়ার ধীরগতির বিষয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা এক লক্ষাধিক। এই দীর্ঘসূত্রতা দূর করতে বিএনপির আইনি সহায়তা সেল সক্রিয়ভাবে কাজ করছে।
শিশুটির চিকিৎসা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রাথমিক চিকিৎসা ও জরুরি অস্ত্রোপচারের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। ভবিষ্যতে শিশুটির শারীরিক বা মানসিক উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তা নিশ্চিত করা হবে আমাদের স্বাস্থ্য সহায়তা সেলের পক্ষ থেকে।
এসময় শিশুটির মা কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তি—মৃত্যুদণ্ডের দাবি জানান।
এসময় অন্যান্যের মধ্যে যশোর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ, স্বাস্থ্য ও আইনি সহায়তা সেলের সদস্যবৃন্দ, হাসপাতালের চিকিৎসক এবং স্থানীয় বিএনপির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন