শিরোনাম
ঢাকা, ৯ জুন ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা একটি ভালো নির্বাচন আশা করছি। সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে সৎ নেতৃত্ব আসলে পাঁচ বছরেই দেশ বদলে যাবে।
গতকাল মৌলভীবাজারের কুলাউড়া পৌরসভা মিলনায়তনে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় প্রচার বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, কেউ যেন নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা না করেন। শহীদদের রক্তের সঙ্গে যেন কেউ বেইমানি না করে। আমরা এমন কোনো নির্বাচন দেখতে চাই না, যা শহীদদের রক্তের মর্যাদা ক্ষুন্ন করে। সুষ্ঠু, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অবশ্যই হওয়া উচিত।
তিনি বলেন, আমরা একটি প্রতিহিংসামুক্ত সমাজ চাই। আমার বিরুদ্ধেও যুদ্ধাপরাধের মামলা দেওয়ার অপচেষ্টা হয়েছে, অথচ সে সময় আমার বয়সও উপযুক্ত ছিল না, এমনকি কোনো সংগঠনের সঙ্গেও যুক্ত ছিলাম না।
ডা. শফিকুর বলেন, কেবল জামায়াতে ইসলামীর আমির হওয়ায় আমাকে যুদ্ধাপরাধী বানানোর চেষ্টা করা হয়। অনেকবার চেষ্টা করেও তারা ব্যর্থ হয়েছে। কুলাউড়ার একজন মানুষও তাদের কথায় সায় দেয়নি। আমি এই ঋণ কখনো শোধ করতে পারব না। আমি কুলাউড়াবাসীর কাছে চিরকৃতজ্ঞ।
জামায়াতের আমির আরো বলেন, যদি দুর্নীতি ও সিন্ডিকেট সঠিকভাবে চিহ্নিত করে আঘাত হানা যায়, তাহলে এদের অস্তিত্ব থাকবেনা। দেশের বিদ্যমান সম্পদ দিয়েই বাংলাদেশকে বদলে দেওয়া সম্ভব। আমাদের কুশিক্ষার জায়গায় সুশিক্ষা ফিরিয়ে আনতে হবে।
তিনি বলেন, আকাশ সংস্কৃতির নেতিবাচক প্রভাবে আমাদের পারিবারিক কাঠামো এলোমেলো হয়ে গেছে। দেশের শিক্ষা কারিকুলাম ও মডিউল যদি নৈতিকতার ভিত্তিতে গড়ে তোলা হয়, তাহলে শিক্ষায় পূর্ণতা আসবে।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, সিলেট মহানগর আমির ও কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মো. ফখরুল ইসলাম, জেলা নায়েবে আমির মাওলানা আবদুর রহমান, জেলা সেক্রেটারি মো. ইয়ামির আলী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ জেলার সভাপতি মাওলানা আব্দুল কুদ্দুস, ঢাকা পল্টন থানা আমির শাহীন আহমদ খান, জেলা সহকারী সেক্রেটারি আজিজ আহমদ কিবরিয়া, পৌর আমির হাফেজ তাজুল ইসলাম।
পেশাজীবী নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন অ্যাডভোকেট ছালিক আহমদ চৌধুরী, আনিসুর রহমান, মনির উদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মোহাম্মদ মাসুক উদ্দিন, মো. শফিক উদ্দিন প্রমুখ।