শিরোনাম

ঢাকা, ২২ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন, সম্প্রসারিত অনুসন্ধান প্রচেষ্টা দেশে গ্যাসক্ষেত্র আবিষ্কারে ইতিবাচক ফলাফল বয়ে আনবে।
তিনি বলেন, প্রাকৃতিক গ্যাস আবিষ্কারের জন্য আমাদের আরো অনুসন্ধান প্রয়োজন। আমি আশা করি এই প্রচেষ্টা ইতিবাচক ফল বয়ে নিয়ে আসবে।
আজ বিইআরসি সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ‘গ্যাস কূপ অনুসন্ধান এবং ড্রিল স্টেম টেস্ট’ শীর্ষক কর্মশালা উদ্বোধনকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিইআরসি চেয়ারম্যান বলেন, গত ৩০ থেকে ৪০ বছরে গ্যাস অনুসন্ধানে বিনিয়োগ সন্তোষজনক হয়নি। গ্যাসের মজুত খুঁজে বের করতে আরো ব্যাপক অনুসন্ধান প্রয়োজন, যার মধ্যে রয়েছে কূপ খনন ও সিসমিক জরিপ।
তিনি জানান, সরকার সিলেট অঞ্চলে পাঁচটি গ্যাস কূপে অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দিয়েছে। এর মধ্যে তিনটি সিলেট জেলায়, একটি রশিদপুরে এবং আরেকটি শ্রীকাইলে।
কর্মশালায় বিইআরসি সদস্য মিজানুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এসময় তিনি সিসমিক জরিপের মাত্রা এবং গ্যাস কূপ অনুসন্ধানের প্রযুক্তিগত দিকগুলো তুলে ধরেন।
তিনি অনুসন্ধান প্রক্রিয়া বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করেন, যার মধ্যে রয়েছে পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধান পদ্ধতি, ভূতাত্ত্বিক জরিপ, লগিং, কূপ খনন, ড্রিল স্টেম টেস্টিং (ডিএসটি), মজুত অনুমান কৌশল এবং অনুসন্ধান কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়।
বাংলাদেশে তেলের মজুত সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে মিজানুর বলেন, বিশেষজ্ঞরা বিভিন্ন ভূগর্ভস্থ স্তরে তেলের উপস্থিতির ইঙ্গিত পেয়েছেন। সিলেট গ্যাসক্ষেত্রের কিছু কূপ থেকে তেল পাওয়া গেছে, আবার হরিপুর-৭ কূপে ২ হাজার ২০০ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন করার পরও তেল পাওয়া গেছে।
তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, আমরা আমাদের দেশে তেল খুঁজে পাব।
মিজানুর আরো বলেন, বাংলাদেশ কনডেনসেট উত্তোলন করছে, যা অকটেন ও পেট্রোল উৎপাদনে ব্যবহৃত হয়।
বাংলাদেশ এনার্জি রিপোর্টার্স ফোরামের (এফইআরবি) সদস্যরা কর্মশালায় যোগ দেন। এফইআরবি চেয়ারম্যান শামীম জাহাঙ্গীর এবং নির্বাহী পরিচালক সেরাজুল ইসলাম অনুসন্ধান কার্যক্রম সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বিইআরসি সদস্য ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. শহীদ সারওয়ার এবং সচিব মো. নজরুল ইসলাম সরকার উপস্থিত ছিলেন।