শিরোনাম
চট্টগ্রাম, ০৫ জুন, ২০২৫ (বাসস) : পবিত্র ঈদুল আজহার দিন বিকেল ৫টার মধ্যে কোরবানির সব বর্জ্য অপসারণের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক)।
নগরজুড়ে পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এ লক্ষ্যে প্রায় ১০ হাজার মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণের লক্ষ্য নিয়ে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ঈদের দিনে চসিক-এর ৪ হাজার ২০০ কর্মী বর্জ্য অপসারণের কাজ করবেন।
সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের নির্দেশনায় নগরবাসীকে দ্রুত পরিচ্ছন্ন শহর উপহার দিতে চসিক-এর ৪ হাজার ২০০ জন কর্মী মাঠে থাকবেন ঈদের দিন। সকাল ৮টা থেকে অলিগলি ঘুরে বর্জ্য সংগ্রহ শুরু করবেন তারা।
এরপর সকাল ৯টা থেকে নির্দিষ্ট স্থানে জমা রাখা বর্জ্য ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হবে প্রধান আবর্জনাগারে।
বৃহস্পতিবার (৫ জুন) চসিক-এর জনসংযোগ কর্মকর্তা ও উপ-প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্ম্মা বলেন, ‘আমাদের মেয়র ছয় থেকে আট ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের একটি সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন। সেই অনুযায়ী আমরা বিকেল ৫টার মধ্যে নগরীকে বর্জ্যমুক্ত করার পরিকল্পনায় কাজ করছি। এ বছর কোরবানির সংখ্যা কিছুটা বেশি হতে পারে। তাই আমরা ৯ থেকে ১০ হাজার টন বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি নিয়েছি।’
জেলা প্রাণিসম্পদ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী, চট্টগ্রামে এবারের ঈদে গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া মিলিয়ে কোরবানির সম্ভাব্য সংখ্যা ৮ লাখ ৯৬ হাজার ২৬৯টি। এসব পশুর কোরবানির পর বিপুল পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হবে, যা সামাল দিতে কাজ করবে ৩ হাজার ৩০০ পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ৩৬৯টি যানবাহন ও অতিরিক্ত কর্মী।
পরিচ্ছন্ন কাজে সহায়তায় গাড়িগুলোর মধ্যে থাকবে ডাম্প ট্রাক, কম্পেক্টর, পে লোডারসহ আরও যন্ত্র।
এ ছাড়া প্রয়োজনে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে অ্যাম্বুলেন্স ও মেডিকেল টিম।
পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমে নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডকে ভাগ করা হয়েছে দুই জোনে- উত্তর ও দক্ষিণ। উত্তরের ২২টি ওয়ার্ডের বর্জ্য যাবে আরেফিন নগরের আবর্জনাগারে ও দক্ষিণের ১৯টি ওয়ার্ডের বর্জ্য জমা হবে হালিশহরের ডাম্পিং স্টেশনে। বর্জ্য অপসারণ শেষে ব্লিচিং পাউডার ও পানি ছিটিয়ে পরিষ্কার করা হবে এলাকা।
চসিক সূত্র জানায়, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার যে কোনো অভিযোগ বা পরামর্শ দিতে দামপাড়া কার্যালয়ে খোলা হয়েছে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ। চালু রাখা হয়েছে দুটি হটলাইন নম্বর ও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম।
এদিকে কোরবানির পশুর চামড়া সংরক্ষণের বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে নগরবাসীকে নির্ধারিত স্থানে চামড়া রাখার আহ্বান জানিয়েছেন মেয়র শাহাদাত হোসেন।
একইসঙ্গে গ্রামের চামড়া যাতে নির্ধারিত সময়ের আগে নগরীতে প্রবেশ না করে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
চসিক-এর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সময় মতো বর্জ্য অপসারণ করে নগরবাসীকে একটি পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ উপহার দেওয়াই তাদের লক্ষ্য।