বাসস
  ০১ জুন ২০২৫, ১৮:৫১

চামড়া শিল্প রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি ইসলামী আন্দোলনের

ঢাকা, ১ জুন, ২০২৫ (বাসস): চামড়া শিল্প রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের যুগ্ম-মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মুহাম্মদ ইমতিয়াজ আলম  ও সেক্রেটারি আলহাজ আব্দুল আউয়াল মজুমদার।

আজ রোববার এক বিবৃতিতে ইসলামী আন্দোলন নেতারা এ দাবি জানান। 

বিবৃতিতে বলা হয়, দেশে সব পণ্যের দাম বাড়ছে পাল্লা দিয়ে কিন্তু কোরবানির পশুর চামড়া দাম বাড়ছে না। বিগত ১৬ বছরে একটি সিন্ডিকেট চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করার চক্রান্তে লিপ্ত। পাট শিল্প শেষ করা হয়েছে। এখন চামড়া শিল্পকেও ধ্বংসের সকল আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, একটি ইসলাম বিরোধী গোষ্ঠী কওমি মাদরাসাকে ধ্বংসের জন্যে চামড়ার দাম কমিয়ে রাখে। কওমি মাদরাসায় দেশের লাখ লাখ এতিম, গরিব ও অসহায় মানুষ বিনা বেতনে ও বিনা খরচে পড়ালেখা করে। যার অধিকাংশই কোরবানির পশুর চামড়া থেকে আয় করে ব্যয়ভার নির্বাহ করা হয়। এজন্য কওমি মাদরাসাগুলো যেন ক্ষতিগ্রস্ত হয়, সেজন্য একটি সিন্ডিকেট চামড়ার দাম কমিয়ে গরিব ও বঞ্চিতদের হক নষ্ট করছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, জুলাই-আগস্ট পরবর্তীতে বর্তমান সরকার চামড়া শিল্পকে বাঁচানোর উদ্যোগ নিলে এ খাত থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। পতিত সরকার সুপরিকল্পিতভাবে চামড়া শিল্পকে ধ্বংস করে দিয়েছে। বাংলাদেশের ৬০ শতাংশ চামড়া কোরবানি থেকে ব্যবস্থা হয়ে থাকে। বাকি ৪০শতাংশ চামড়া আসে সারা বছর পশু জবাই থেকে। 

তারা বলেন, চামড়া শিল্পের সাথে শত শত ট্যানারি ও হাজার হাজার মানুষের কর্মসংস্থান জড়িত। এছাড়াও চামড়া শিল্প ছিল বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের অন্যতম খাত। বিগত সরকারের আমলে এ শিল্প ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। চামড়া শিল্পকে ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সুপরিকল্পিত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। শুধু কোরবানি উপলক্ষে ঋণ দিলেই চামড়া শিল্পকে রক্ষা করা যাবে না। ট্যানারি এলাকাকে পরিবেশবান্ধব করতে হবে। বিদেশি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।