শিরোনাম

রংপুর, ২৮ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় চলমান টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচিতে এ পর্যন্ত ৪৭ শতাংশ শিশুকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকা নিতে অভিভাবকদের আগ্রহও লক্ষণীয় বলে জানিয়েছেন প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফুল ইসলাম।
সোমবার সিটি কর্পোরেশন কার্যালয়ে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচির অগ্রগতি ও সাফল্য নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা জানান।
তিনি বলেন, টাইফয়েড টিকা সম্পূর্ণ নিরাপদ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত এবং সৌদি আরব হালাল সেন্টার কর্তৃক হালাল হিসেবে প্রত্যয়িত।
রংপুর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ইবনে তাজ জানান, সরকারের টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন-২০২৫ এর আওতায় ৯ মাস থেকে ১৫ বছরের কম বয়সী সব শিশুকে বিনামূল্যে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে। রংপুরে ২ লাখ ১০ হাজার ৭১৯ শিশুকে টিকা দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলতি কার্যক্রম শুরু হয়েছে ১২ অক্টোবর এবং চলবে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত ১ লাখ ৭৬৪ জন শিশুকে টিকা প্রদান সম্পন্ন হয়েছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী প্রায় ৯০ লাখ মানুষ টাইফয়েডে আক্রান্ত হন এবং এক লাখ ১০ হাজারের মৃত্যু ঘটে। বাংলাদেশে ২০২১ সালে প্রায় ৪ লাখ ৭৮ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছিল, যাদের ৬৮ শতাংশই শিশু।
বিশেষজ্ঞদের মতে, টাইফয়েড টিকা নিরাপদ ও কার্যকর। এটি শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং টাইফয়েডের গুরুতর জটিলতা থেকে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দেয়।
বাংলাদেশ বিশ্বের সপ্তম দেশ হিসেবে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি চালু করেছে। সরকারি টিকাদান কেন্দ্র, স্কুল ও কমিউনিটি বুথে প্রশিক্ষিত স্বাস্থ্যকর্মীরা টিকা প্রদান করছেন।
রংপুর সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৭৭১টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও ২৬৪টি আউটরিচ টিকাদান কেন্দ্রে প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ও সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে।
টাইফয়েড টিকা শুধু একটি ইনজেকশন নয়—এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুরক্ষিত রাখার অঙ্গীকার। সচেতনতা ও সঠিক তথ্য প্রচার করে সবাইকে এ ক্যাম্পেইন সফল করতে আহ্বান জানানো হয়েছে।