শিরোনাম

ঢাকা, ২৫ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে আজ মায়ের কাছে ফিরে এসেছেন।
তারেক রহমান ফেসবুকে তাঁর ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক পোস্টে আজ লিখেছেন, হে সার্বভৌম শক্তির মালিক আল্লাহ! আপনি যাকে ইচ্ছা ক্ষমতা প্রদান করেন এবং যার থেকে ইচ্ছা ক্ষমতা কেড়ে নেন; যাকে ইচ্ছা আপনি সম্মানিত করেন, আর যাকে ইচ্ছা আপনি হীন করেন। কল্যাণ আপনারই হাতে। নিশ্চয়ই আপনি সবকিছুর ওপর ক্ষমতাবান।
ঢাকার বিমানবন্দর থেকে পূর্বাচলের ৩০০ ফিটের উদ্দেশ্যে বাসযোগে যাত্রায় তাঁর এ পোস্টটি আপলোড করা হয়।
রাস্তার দুই পাশে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ তাঁকে বরণ করে নিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তাদের অভিবাদনের জবাব দিতে তারেক রহমান বাসের ভেতরে উইন্ডশিল্ডের সামনে দাঁড়িয়ে হাত নেড়ে সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
দীর্ঘ ১৭ বছরের নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে মায়ের কাছে ফিরেছেন তারেক রহমান। মা, মাটি ও মানুষের দল বিএনপির দ্বিতীয় শীর্ষ নেতার দীর্ঘ নির্বাসিত জীবনের অবসান ঘটিয়ে দেশে মহাপ্রত্যাবর্তনে দলের নেতা-কর্মীদের মাঝে বিরাজ করছে বাঁধভাঙা উল্লাস।
তাঁর সঙ্গে এসেছেন স্ত্রী জুবাইদা রহমান ও মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমান। বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জ থেকে বের হয়ে খালি জায়গায় খালি পায়ে মাটি স্পর্শ করে একমুঠো মাটি হাতে নেন তারেক রহমান। এরপর বুলেট প্রুফ গাড়ি বাদ দিয়ে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ খচিত লাল সবুজের রংয়ের একটি বাসে চড়ে তাঁর জন্য অপেক্ষমাণ সংবর্ধনা মঞ্চের দিকে রওনা হন। তাঁর সাথে বাসে ছিলেন দলের শীর্ষ নেতৃবৃন্দ।
পুরো রাস্তায় তিনি বাসটির সামনে থেকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে হাত নেড়ে শুভেচ্ছা জানান।
এসময় বাঁধভাঙা উল্লাসে ফেটে পড়ে নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। নেতাকর্মীরা স্লোগানে স্লোগানে প্রকম্পিত করে রাখে পুরো পথ।
আজ বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে তারেক রহমানকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায়। ইমিগ্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার পর বিমানবন্দরের ভিআইপি লাউঞ্জে তারেক রহমানকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা। পরে তারেক রহমান সেখানে উপস্থিত বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলিঙ্গন ও কুশল বিনিময় করেন। এছাড়া বিমানবন্দরে পরিবারের পক্ষে ফুলের মালা দিয়ে তারেক রহমানকে বরণ করে নেন তাঁর শাশুড়ি সৈয়দা ইকবাল মান্দ বানু।