বাসস
  ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩:২২

খুলনায় বিশ্ব মেডিটেশন দিবস উদযাপন

ছবি : বাসস

খুলনা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): নিয়মিত মেডিটেশন মানুষের মনকে রাখে সুস্থ ও প্রশান্ত। শিথিল করে স্নায়ুপেশী, কমায় মানসিক চাপ ও মনোদৈহিক রোগের ঝুঁকি। অন্যদিকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এমন বিশ্বাসেই রোববার খুলনায় পালিত হয়েছে বিশ্ব মেডিটেশন দিবস।

এ উপলক্ষ্যে খুলনার বিভিন্ন এলাকায় একযোগে আয়োজন করা হয় ঘণ্টাব্যাপী উন্মুক্ত মেডিটেশন কর্মসূচির। স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন এটির আয়োজন করে।

খুলনার শহীদ হাদিস পার্ক, জাতিসংঘ শিশু পার্ক, নিরালা পার্ক, সোনাডাঙ্গা সোলার পার্ক, রূপসা ব্রিজ গোলচত্বর, খুলনা বিশেষায়িত হাসপাতাল চত্বর, কুয়েট শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ ও রূপসার বেলফুলিয়া স্কুল মাঠসহ বিভিন্ন স্থানে সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় মূল আয়োজন। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজারো মানুষ অংশ নেন।
সম্মিলিত কণ্ঠে ভালো থাকার প্রত্যয় উচ্চারণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। এরপর সবাই নীরবে নিমগ্ন হন মেডিটেশনে। অংশগ্রহণকারীরা উপলব্ধি করেন, ব্যক্তির মন ভালো থাকলেই পরিবার ও সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।

অনুষ্ঠানে প্রচারিত অডিও বার্তায় বৈজ্ঞানিক মেডিটেশন পদ্ধতি ‘কোয়ান্টাম মেথড’-এর উদ্ভাবক শহীদ আল বোখারী মহাজাতক বলেন, কোয়ান্টাম তিন দশক ধরে বলে আসছে, ‘মন ভালো তো সব ভালো’। 

তিনি জানান, কোয়ান্টাম ২০২৫ সালকে ঘোষণা করেছে ‘দ্য ইয়ার অব মেডিটেশন’ হিসেবে। যাতে সমাজের সর্বস্তরে ধ্যানচর্চা আরও বিস্তৃত হয়।

আলোচনায় বর্তমান ডিজিটাল জীবনের অতিরিক্ত উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, অস্থিরতা, ট্রমা, ভয় ও অনিশ্চয়তা থেকে সৃষ্ট বিভিন্ন মনোদৈহিক সমস্যার কথাও উঠে এসেছে। 

বক্তারা বলেন, এসব সমস্যা থেকে মুক্তির কার্যকর পথ মেডিটেশন। তাই এর বাণী বিশ্বের প্রতিটি ঘরে ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘ ২০২৪ সালে ২১ ডিসেম্বরকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘বিশ্ব মেডিটেশন দিবস’ ঘোষণা করে। এই ঘোষণার মাধ্যমে মানসিক ও শারীরিক সুস্বাস্থ্যের সার্বজনীন অধিকারকে নতুনভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। 

বৈজ্ঞানিক গবেষণার ভিত্তিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাও এখন মেডিটেশনকে ‘নিজের যত্ন নিজে নেওয়ার একটি কার্যকর পদ্ধতি’ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে। এছাড়া ২০২৩ সাল থেকে শিক্ষা ও শিক্ষক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের অংশ হিসেবেও মেডিটেশন চর্চা যুক্ত হয়েছে।