বাসস
  ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:২৮

খুলনার ৩৬ আসনে ঝুঁকিমুক্ত ভোটকেন্দ্র নিশ্চিতে সরকারের জোর তৎপরতা

প্রতীকী ছবি

খুলনা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : খুলনা বিভাগে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে ৩৬টি আসনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ নিশ্চিতে নিরলসভাবে কাজ করছে বিভাগীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলো।

ভোটকেন্দ্রগুলোতে সহিংসতামুক্ত পরিবেশ নিশ্চিতেও তারা কাজ করছে। অন্যদিকে সাধারণ কেন্দ্রের পাশাপাশি অতি গুরুত্বপূর্ণ ও গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রগুলো চিহ্নিত করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, খুলনা বিভাগের ৩৬টি সংসদীয় আসনে মোট ৫ হাজার ১৩৩টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৭৯৬টি কেন্দ্রকে অতি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ।

মোট কেন্দ্রের মধ্যে ১ হাজার ৮৫১টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। আর বাকি কেন্দ্রগুলো সাধারণ শ্রেণিভুক্ত।

খুলনা রেঞ্জ ও মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্মকর্তারা জানান, স্থানীয় থানা ও গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নের ভিত্তিতে এ তথ্য সংগ্রহ করছেন।

১০টি জেলা নিয়ে গঠিত খুলনা বিভাগের মোট  ভোটকেন্দ্র ৪ হাজার ৮২৪টি। এর মধ্যে ৭২৩টি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ১ হাজার ৭২৩টি গুরুত্বপূর্ণ। বাকী ২ হাজার ৩৩৮টি কেন্দ্র সাধারণ হিসেবে বিবেচিত।

খুলনা রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ মহাপরিদর্শক (অপারেশনস) শেখ জয়নুদ্দিন জানান, থানা ও গোয়েন্দা সংস্থার মূল্যায়নের ভিত্তিতে ভোটকেন্দ্রগুলোকে তিনটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়েছে। এগুলো হল: অতি গুরুত্বপূর্ণ, গুরুত্বপূর্ণ ও সাধারণ।

তিনি আরও বলেন, ভোটারদের অধিকার সুরক্ষায় পুলিশ সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এ লক্ষ্যে পুলিশের জন্য ২৮টি প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। ২০টি ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

৩৬টি আসনের মধ্যে দুটি খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি) এলাকায়। সেগুলো হল: খুলনা-২ (সদর-সোনাডাঙ্গা) ও খুলনা-৩ (খালিশপুর-দৌলতপুর-খান জাহান আলী-আরংঘাটা)।

এই দুটি আসনে মোট ৩০৯টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে ৭৯টি অতি গুরুত্বপূর্ণ এবং ১২৮টি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত। অর্থাৎ, সেখানে ৬৭ শতাংশ কেন্দ্রকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করছে পুলিশ।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নগরীর ভোটকেন্দ্রগুলোর ঝুঁকি আগেভাগেই মূল্যায়ন করা হয়েছে।

গত সেপ্টেম্বর থেকে পরিদর্শনের পর ৮টি মহানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা গত মাসে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন জমা দেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) টি এম রোকনুজ্জামান বলেন, ভোটকেন্দ্রের ঝুঁকি নির্ধারণে আগের সহিংসতার ঘটনা, ভোট স্থগিতের ইতিহাস, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বাসার কাছাকাছি অবস্থান, কেন্দ্রের দুর্গমতা, সীমানা নিরাপত্তা, যাতায়াতের সুবিধা এবং পালানোর সুযোগ বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

খুলনা-৩ আসনের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফয়সাল কাদের বলেন, সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোহাম্মদ জাহিদুল হাসান বলেন, ভোটকেন্দ্র ও নির্বাচনের সামগ্রিক পরিবেশ নিয়ে পুলিশ সবসময় সতর্ক রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা কয়েক মাস ধরেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন। ভোটের আগে সব কেন্দ্রেই সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। পাশাপাশি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা প্রতিরোধে পুলিশ সদস্যদের কাছেও ক্যামেরা থাকবে।