বাসস
  ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২:০৩

লালমনিরহাটে বিজিবির বিশেষ অভিযান বিপুল পরিমাণ চোরাচালান পণ্য জব্দ

লালমনিরহাট, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) সীমান্ত এলাকায় পৃথক দুটি বিশেষ অভিযান চালিয়ে ভারতীয় মদ ও নেভিয়া সফট ক্রিম জব্দ করেছে।

আজ রোববার ১৫ বিজিবির এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

এতে জানানো হয়, চোরাচালান ও মাদকবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে ভিন্ন ভিন্ন বিওপির বিশেষ টহলদল এসব অভিযান পরিচালনা করে। বিশ্বস্ত গোয়েন্দা সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, ২০ ডিসেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টায় অনন্তপুর বিওপির আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম রামখানা এলাকায় বিজিবির একটি টহলদল অভিযান চালায়। অভিযান চলাকালে কয়েকজন সন্দেহভাজন ব্যক্তির গতিবিধি লক্ষ্য করে টহলদল ধাওয়া দিলে চোরাকারবারিরা সঙ্গে থাকা মালামাল ফেলে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরে ফেলে যাওয়া মালামাল তল্লাশি করে ৫ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার করা হয়। অপরদিকে, একই দিন ভোর আনুমানিক ৭টা ৫ মিনিটে বাগভান্ডার বিওপির আওতাধীন কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী উপজেলার বাগভান্ডার সুইচগেট এলাকায় বিজিবির আরেকটি টহলদল অভিযান পরিচালনা করে। এ সময় চোরাকারবারিদের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের চ্যালেঞ্জ জানানো হলে তারা মালামাল ফেলে সীমান্ত অতিক্রম করে ভারতের অভ্যন্তরে পালিয়ে যায়। পরে তল্লাশি চালিয়ে ১২৫টি ভারতীয় নেভিয়া সফট ক্রিম উদ্ধার করা হয়।

১৫ বিজিবির অধিনায়কের পক্ষ থেকে জানানো হয়, উদ্ধারকৃত ৫ বোতল ভারতীয় মদের সরকারি সিজার মূল্য ৭ হাজার ৫০০ টাকা এবং ১২৫টি ভারতীয় নেভিয়া সফট ক্রিমের সিজার মূল্য ১৮ হাজার ৭৫০ টাকা। সব মিলিয়ে জব্দকৃত মালামালের মোট সিজার মূল্য ২৬ হাজার ২৫০ টাকা। 

এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট চোরাকারবারিদের শনাক্তে তথ্য সংগ্রহসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।

লালমনিরহাট ব্যাটালিয়ন (১৫ বিজিবি) এর কমান্ডিং অফিসার লেফটেন্যান্ট কর্নেল মেহেদী ইমাম বলেন, ‘দেশের যুবসমাজকে মাদকমুক্ত রাখতে বিজিবি সর্বদা সতর্ক ও প্রস্তুত রয়েছে। মাদক পাচার রোধে সীমান্তের স্পর্শকাতর এলাকাগুলো চিহ্নিত করে গোয়েন্দা নজরদারি ও টহল তৎপরতা আরও জোরদার করা হয়েছে।’

তিনি মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা ও প্রতিরোধে বিজিবিকে সহযোগিতার জন্য স্থানীয় জনগণের প্রতি আহ্বান জানান এবং তথ্য প্রদানকারীদের পরিচয় গোপন রাখার নিশ্চয়তা দেন।