শিরোনাম

ঢাকা, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): ঢাকায় নেপাল দূতাবাসে আজ ‘বিশ্ব মেডিটেশন দিবস ২০২৫’ পালন করা হয়েছে।
এতে বিশ্বজুড়ে চলমান নানা অস্থিরতার মধ্যেও মেডিটেশনকে একটি চিরন্তন আধ্যাত্মিক ঐতিহ্য এবং অভ্যন্তরীণ প্রশান্তির অপরিহার্য পথ হিসেবে তুলে ধরা হয়।
জীবন বিজ্ঞান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় দূতাবাস প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানের মূল প্রতিপাদ্য ছিল, ‘মেডিটেশন: সুখ ও অভ্যন্তরীণ প্রশান্তির জাগরণ’।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারি বলেন, ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে ২১ ডিসেম্বরকে ‘বিশ্ব মেডিটেশন দিবস’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাবকারী প্রধান ছয়টি দেশের অন্যতম ছিল নেপাল। সবার সম্মতিক্রমেই ওই প্রস্তাবটি গৃহীত হয়।
তিনি বলেন, নেপাল দীর্ঘকাল ধরে আধ্যাত্মিক সাধনা ও ধ্যানের পীঠস্থান হিসেবে পরিচিত। নেপালে মেডিটেশন বা ধ্যান কেবল আধুনিক সুস্বাস্থ্যের কোনো চর্চা নয়, বরং এটি দেশটির ইতিহাস ও সভ্যতার সঙ্গে মিশে থাকা এক জীবন্ত ঐতিহ্য।
যুদ্ধ, সশস্ত্র সংঘাত, প্রযুক্তির নেতিবাচক প্রভাব, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও জলবায়ু সংকটের মতো বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মেডিটেশনের প্রয়োজনীয়তা আগের চেয়ে অনেক বেড়েছে বলে মন্তব্য করেন রাষ্ট্রদূত। তিনি মেডিটেশনকে মানসিক সচেতনতা ও শৃঙ্খলা বৃদ্ধিকারী একটি সচেতন জীবনধারা হিসেবে বর্ণনা করেন।
অনুষ্ঠানে মেডিটেশন কর্মশালা পরিচালনা করেন জীবন বিজ্ঞান ফাউন্ডেশনের প্রশিক্ষক অনিমা ভান্ডারি। তিনি অংশগ্রহণকারীদের ‘স্বজাগরণ’ বা আত্ম-জাগরণ মেডিটেশনের মাধ্যমে সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস ও অভ্যন্তরীণ সচেতনতার প্রক্রিয়াগুলো শেখান।
সেশনে ‘নমস্কার প্রাণায়াম’ এবং ‘বীজ প্রাণায়াম’ অনুশীলনের পাশাপাশি গভীর শিথিলতা ও মানসিক প্রশান্তির জন্য নির্দেশনামূলক ধ্যান অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত, হাইকমিশনার, কূটনৈতিক কোরের সদস্য, নেপালি কমিউনিটির প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ এবং বাংলাদেশি গণমাধ্যমকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।