বাসস
  ১৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২০:০১

ভোটের সময় ৭ দিনের জন্য আইন-শৃংখলা ও অপতথ্য মনিটরিং সেল গঠন করবে ইসি

ঢাকা, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস): আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে ভোটের সময় সাত দিনের জন্য আইন-শৃংখলা ও অপতথ্য মনিটরিং সেল গঠন করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। অপতথ্যের প্রভাব ও এর বিস্তার রোধে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সম্পন্ন বাহিনী বা সংস্থাসমূহ নির্বাচন কমিশনে তথ্য ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান করবে।

আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের উপসচিব (নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখা) মোহাম্মদ মনির হোসেন স্বাক্ষরিত আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ পরিপত্র থেকে এ তথ্য জানা গেছে। 

পরিপত্র অনুযায়ী, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সার্বিক আইন-শৃংখলার পরিবেশ শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক রাখার প্রতি গুরুত দিতে হবে। 

সকল দল ও প্রার্থী যাতে নির্বিঘ্নে নিয়মানুযায়ী কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারে তা নিশ্চিত করা। ভোটারগণ যাতে নিঃশঙ্কচিত্তে ও স্বস্তির সাথে ভোট দিতে পারেন তা নিশ্চিত করা। ভোট কেন্দ্র ও নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্র সহ সংশ্লিষ্ট স্থাপনা ও অফিসের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। 

নির্বাচনী সামগ্রী ও ব্যালট (পোস্টাল ব্যালটসহ) এর নিরবিচ্ছিন্ন পরিবহন ও সংরক্ষণে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গুজব ও অপতথ্যের বিস্তার রোধ এবং প্রভাব নিয়ন্ত্রণ করা। জাতি-ধর্ম-লিঙ্গ-গোত্র নির্বিশেষে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠির নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। পঙ্গু, আহত, বয়স্ক, অসুস্থ ও সন্তানসম্ভবাদের জন্য চলাচল ও ভোটাধিকার প্রয়োগে সহনীয় সুযোগ ও পরিবেশ তৈরি করা। নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত সকলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনে স্থাপিত আইন-শৃংখলা ও অপতথ্য মনিটরিং সেল:

কাঠামো: ‘নির্বাচন কমিশন, মন্ত্রনালয়, বিভাগ, বিটিআরসি ও সকল বাহিনী। সংস্থার প্রতিনিধির সমন্বয়ে এই সেল গঠিত হবে। প্রাথমিকভাবে এই সেলের আকার হবে সীমিত যা ভোটের সময় ৭ দিনের জন্য (নির্বাচনের আগে ৪ দিন, ভোটের দিন ও ভোটের পরের ২ দিন) পূর্ণাঙ্গরূপে কাজ করবে।’

কার্যকাল: তফসিল ঘোষণার দিন হতে ভোটের পরবর্তী ২ দিন (১২ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৬ পর্যন্ত)।

অপারেশনাল মোতায়েন: আইন-শৃংখলা রক্ষায় বাহিনী সমূহের মোতায়েনের স্বরূপ।

সময়কাল: স্বাভাবিক (বর্তমানে চলমান) মোতায়েন, তফসিল ঘোষণার পর থেকে নির্বাচন পরবর্তী ৭ দিন পর্যন্ত।
নির্বাচনকালীন মোতায়েন: আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা দল ছাড়া সকল বাহিনী ভোটের সময় ৫ দিন (নির্বাচন পূর্ব ৩ দিন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তী ১ দিন) মোতায়েন থাকবে। আনসারদের জন্য উক্ত সময় হবে ৬ দিন (নির্বাচন পূর্ব ৪ দিন, নির্বাচন অনুষ্ঠানের দিন এবং নির্বাচন পরবর্তী ১ দিন)। এই সময়কালের মোতায়েনের জন্য কমিশন প্রচলিত নিয়মে বাজেট বরাদ্দ করবে।

মোতায়েনের ধরণ: স্থায়ী মোতায়েন- কেন্দ্র অধিক্ষেত্রভিত্তিক (শুধুমাত্র ভোটের সময়কালে ৫ দিনের জন্য বিশেষ মোতায়েন)। স্থায়ী/অস্থায়ী চেক পোস্ট (তফসিল ঘোষণার পর থেকে সম্পূর্ণ সময়ের জন্য)।

মোবাইল মোতায়েন, টহল/ আভিযানিক দল (তফসিল ঘোষণার পর থেকে সম্পূর্ণ সময়ের জন্য)। 

স্ট্রাইকিং ফোর্স (সম্পূর্ণ সময়; বিশেষ করে ভোটের দিন)।

সংরক্ষিত ফোর্স (তফসিল ঘোষণার পর থেকে সম্পূর্ণ সময়ের জন্য) এলাকা ভিত্তিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে।

সমন্বয় নির্দেশাবলী: সংশ্লিষ্ট কমিশন, মন্ত্রনালয়, বিভাগ ও সকল বাহিনী/সংস্থা থেকে একজন যোগ্য প্রতিনিধি ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে নির্বাচন কমিশনের সমন্বয় সেলের সাথে সমন্বয় করবেন।

অপতথ্যের প্রভাব ও এর বিস্তার রোধে প্রযুক্তিগত সক্ষমতা সম্পন্ন বাহিনী/ সংস্থাসমূহ নির্বাচন কমিশনে তথ্য ও প্রযুক্তি সহায়তা প্রদান করবে।