শিরোনাম

ঢাকা, ১৬ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা জানাতে নেতাকর্মীদের ঢল নেমেছে। আজ সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মী, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সদস্য এবং সাধারণ মানুষ শ্রদ্ধা জানাতে মাজার প্রাঙ্গণে আসতে শুরু করে।
এদিন সকাল সাড়ে নয়টার দিকে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, আব্দুল কাদের ভূইয়া জুয়েলসহ বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দ। এসময় স্লোগানমুখর হয়ে ওঠে মাজার প্রাঙ্গণ।
এরপরই ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি, স্বেচ্ছাসেবক দল, তাঁতী দল, শ্রমিকদল, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, আরাফাত রহমান কোকো ক্রীড়া পরিষদ, জাতীয়তাবাদী টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (জেটেব), রামপুরা থানা বিএনপি, বাড্ডা থানা বিএনপি, দক্ষিণখান থানা বিএনপি, বংশাল থানা বিএনপি, মিরপুর থানা বিএনপি, শ্যামপুর থানা বিএনপি, হাজারীবাগ থানা বিএনপি, কলাবাগান থানা বিএনপি, কামরাঙ্গীরচর থানা বিএনপি, বনানী থানা বিএনপি, খিলক্ষেত থানা বিএনপি, নিউমার্কেট থানা বিএনপিসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের পক্ষে আলাদা আলাদা ব্যানারে মিছিল আসতে থাকে। এসময় সাধারণ মানুষকেও শ্রদ্ধা জানাতে দেখা গেছে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে জিয়াউর রহমানের জন্য বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণার মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধ শুরু হয়েছিল ডিসেম্বর মাসের ১৬ তারিখে সেই যুদ্ধে আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেছিলাম। এজন্য এদিন আমাদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ আমরা আমাদের দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যবৃন্দসহ দলের প্রতিষ্ঠাতা, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের মাজারে এসেছিলাম তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে। আমরা এই মাজারে শপথ নিয়েছি- ‘এ দেশের স্বাধীনতাকে অক্ষুণ্ন রাখার জন্য আমাদের যে সংগ্রাম, সেটি অব্যাহত থাকবে।’
তিনি বলেন, আজকের এই দিনে আমাদের দলের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে মহান মুক্তিযুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন, তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। শ্রদ্ধা জানাচ্ছি স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানের প্রতি। আমরা এদিনে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করছি এ দেশের প্রথম নারী মুক্তিযোদ্ধা ও গণতন্ত্রের অতন্দ্র প্রহরী খালেদা জিয়ার রোগমুক্তির জন্য। আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমান দেশে আসবেন। তাঁর দেশে আসা যেন গণতন্ত্রের লড়াইকে আরও বেগবান করে, সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। যারা স্বাধীনতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, তারা আজ মাথা উঁচু করতে চায়। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকামী মানুষ সকল ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে অবশ্যই বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সংস্কৃতিকে অটুট রাখবে। গণতন্ত্রকে প্রতিষ্ঠিত করবে। ইনশাল্লাহ।