শিরোনাম

সুনামগঞ্জ, ১২ ডিসেম্বর ২০২৫ (বাসস): গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় (১১ ডিসেম্বর) ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করায় সাধারণ ভোটারদের মধ্যে খুশির আমেজ বইছে। তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছেন সুনামগঞ্জের দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষ।
সুনামগঞ্জে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ সাধারণ ভোটাররা উৎফুল্ল। দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারা ভোট দেবেন বলে এ আশা করছেন। তফসিল ঘোষণার পর কেটে গেছে নির্বাচন নিয়ে সব শঙ্কা। তাদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উৎসবের আমেজ। গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে ভোট না দিতে পারায় এবারের ভোট নিয়ে সাধারণ মানুষের ভিতরে উৎসাহ অনেক, বিশেষ করে তরুণ ভোটাররা বেশি খুশি। তারা ভোট দিতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন।
তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়ে সোস্যাল মিডিয়াসহ চায়ের দোকানে খুশির জোয়ার বইছে। তফসিল ঘোষণার পরে সুনামগঞ্জে রাজনৈতিক দল, সুশীল সমাজ ও সাধারণ ভোটাররা ভোটের হিসাব কষতে শুরু করেছেন।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সুনামগঞ্জের জেলা কমিটির সভাপতি নুরুল হক আফিন্দি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে গত তিনটি সংসদ নির্বাচনে ভোট দিতে না পারায় সাধারণ ভোটাররা নিরুৎসাহিত হয়ে পড়েছিলেন। এবারের নির্বাচনে সাধারণ মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করবে এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে এটাই সাধারণ মানুষের প্রত্যাশা।
তফসিল ঘোষণার বিষয়ে জানতে চাইলে ২৪ এর বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের তরুণ ভোটার শবনম দোজা জ্যোতি বলেন, গত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তফসিল ঘোষণা নিয়ে শঙ্কায় ছিল সাধারণ মানুষ। তবে তফসিল ঘোষণায় সব শঙ্কা কেটে গেছে। উৎসবের আমেজ তৈরি হয়েছে। একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা হবে, তবেই জুলাই যোদ্ধাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে।
মানবাধিকার কর্মী নুরুল হাসান আতাহের বলেন- জাতির এ ক্রান্তিলগ্নে নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা অবশ্যই ইতিবাচক। আশা করি বর্তমান সরকার আমাদের একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন।
সুনামগঞ্জ পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতি আবু নাসের বলেন, নির্বাচন কমিশন এ বারই প্রথম পোস্টাল ব্যালটের ব্যবস্থা করে একটি যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে। তার সঠিক বাস্তবায়ন হোক এই প্রত্যাশা।
সুনামগঞ্জ পৌর শ্রমিক নেতা সোহেল আহমদ বলেন, একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। শ্রমিকেরা তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পাবে বলে আশা করছি।
সুনামগঞ্জ পৌর কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও জেলা জাসাসের আহবায়ক শেরগুল আহমদ বলেন- গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন এক তরফা ও ভোটার বিহীন এর ফলে ভোটের প্রতি মানুষ আগ্রহ হারিয়ে ফেলেছিল। তাই এবারের নির্বাচনে মানুষকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে উৎসাহিত করতে হবে। জেলা জাসাসের পক্ষ থেকে আমরা এই তফসিলকে স্বাগত জানাই।
জেলা জামায়াতের নায়েবে আমির মমতাজুল হাসান আবেদ বলেন, নির্বাচন কমিশনের এ তফসিল ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। বর্তমান নির্বাচন কমিশন একটি সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন জাতিকে উপহার দেবে। এই প্রত্যাশা নিয়ে ভোটারদের।
জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য মোনাজির হোসেন সুজন বলেন বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকার সাধারণ মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে করেছিল। জুলাই বিপ্লবের পর এই নির্বাচন পেয়ে ভোটার ও রাজনৈতিক দলগুলো আনন্দিত।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণাকে আমরা স্বাগত জানাই। আশা করছি একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে।