শিরোনাম

ঠাকুরগাঁও, ৩ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে ঠাকুরগাঁও পাক হানাদারমুক্ত দিবস উদযাপিত হয়েছে।
এ উপলক্ষে আজ বুধবার জেলা প্রশাসন দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করে। এর মধ্যে ছিল চিত্রাঙ্কণ ও রচনা লেখা প্রতিযোগিতা, বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ।
সকালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা নিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা শহীদদের স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক (ভারপ্রাপ্ত) ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট সরদার মোস্তফা শাহিন। পরে জেলা বিএনপি, বীর মুক্তিযোদ্ধারাসহ সকল শ্রেণী পেশার মানুষরা সেখানে শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
এ উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা জেলা কমান্ড ও মুক্তিযোদ্ধা সন্তান কমান্ড এর আয়োজনে শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
সকালে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তান এবং স্বজনরা শোভাযাত্রা বের করেন। এটি জেলা কমান্ড চত্বর থেকে মির্জা রুহুল আমিন মিলনায়তনে গিয়ে মিলিত হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন ডিসি সরদার মোস্তফা শাহিন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হক সুমন, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, রংপুর বিভাগীয় সাবেক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আখতারুজ্জামান, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ আনিসুল হক, জেলা নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক এম রাজিউল ফারুক রোমেল চৌধুরী, বিএডিসি উপ-পরিচালক ফারুক হোসেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ জেলা ইউনিট কমান্ড এর আহবায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম। পরে সেখানে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার হিসেবে গাছের চারা বিতরণ করা হয়।
এছাড়া দিবসটি পালন উপলক্ষে উদীচী শিল্পী গোষ্ঠী জেলা সংসদ ও জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ পৃথক পৃথক কর্মসচি গ্রহণ করেছে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভা ও মানববন্ধন হয়।
এদিকে সকালে জেলা প্রশাসক চত্বরে দিনব্যাপী কর্মসূচির যৌথভাবে উদ্বোধন করেন ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক সরদার মোস্তফা শাহিন। সকাল সাড়ে ১০টায় মুক্তির শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। সন্ধ্যায় মুক্তিযুদ্ধের আলোকচিত্র প্রদর্শনী, মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছে জেলা শিল্পকলা একাডেমি। এছাড়াও সন্ধ্যায় পাউবো সভাকক্ষে জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা জেলা শাখার উদ্যোগে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সন্ধ্যায় আতসবাজি ও রাতে ফানুস ওড়ানোর কর্মসূচি নিয়েছে সংগঠন অগ্রদূত ক্রীড়া সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সংসদ। এছাড়া বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্থানীয় সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো দিবসটি পালনে র্যালি, আলোচনাসহ নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
উল্লেখ্য, ৩ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও পাক হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধের এই দিনে সম্মুখ যুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে ঠাকুরগাঁও জেলা থেকে বিতাড়িত করে হানাদার মুক্ত করা হয়।