শিরোনাম

ঢাকা, ২৭ নভেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেছেন, নারী ও কন্যাশিশুর বিরুদ্ধে দ্রুত বিস্তৃত অনলাইন সহিংসতা মোকাবেলায় কার্যকর আইন সংস্কার, প্রযুক্তিনির্ভর সুরক্ষা ব্যবস্থা এবং বিস্তৃত ডিজিটাল সাক্ষরতা কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।
আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে আইসিটি বিভাগের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথা বলেন তিনি।
শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের ডিজিটাল রূপান্তরকে টেকসই করতে হলে নিরাপত্তা ও জবাবদিহির শক্ত ভিত্তি তৈরি করতে হবে। অনলাইন অভিযোগ গ্রহণ ও তদন্ত ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও শক্তিশালী করা, সাইবার তদন্ত সক্ষমতা বাড়ানো এবং দায়িত্বশীল ডিজিটাল নাগরিকত্ব নিয়ে সারা দেশে ব্যাপক সচেতনতা গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি।”
ইউএনওপস বাংলাদেশ, এটুআই, আইসিটি বিভাগ, বিআইআইএসএস এবং বাংলাদেশস্থ মালদ্বীপ হাইকমিশনের যৌথ উদ্যোগে এই কর্মসূচি ‘নারী ও কন্যাশিশুর বিরুদ্ধে ডিজিটাল সহিংসতা বন্ধে ঐক্যবদ্ধ হই’ প্রতিপাদ্য নিয়ে চলমান ১৬ দিনের ক্যাম্পেইনের অংশ।
গোলটেবিল বৈঠকে সরকারি নীতিনির্ধারক, কূটনীতিক, আইনজীবী, প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ, বেসরকারি খাত, সিভিল সোসাইটি এবং গণমাধ্যমকর্মীরা সাইবার স্টকিং, অনলাইন হয়রানি, ডিপফেক, ছবি ও ভিডিও বিকৃতি এবং ইমেজ বেইজড অ্যাবিউজসহ বিভিন্ন ডিজিটাল সহিংসতার ঝুঁকি, ক্ষতি ও প্রতিকার কাঠামো নিয়ে আলোচনা করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ইউএনওপস বাংলাদেশ ও ভুটানের কান্ট্রি ম্যানেজার সুধীর মুরালিধারণ বলেন, ডিজিটাল সহিংসতা শুধু প্রযুক্তিগত সমস্যা নয়। এটি উন্নয়ন, সুশাসন ও মানবাধিকার এই তিন অঙ্গনেই চ্যালেঞ্জ। তাই সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, বেসরকারি খাত ও নাগরিক সমাজকে যৌথভাবে কাজ করে এ সম্মিলিত প্রতিকার কাঠামো গড়ে তুলতে হবে।
এটুআই-এর প্রকল্প পরিচালক মো. আব্দুর রফিক বলেন, ডিজিটাল প্লাটফর্ম আমাদের জন্য সুযোগ ও উন্নতির এক বিরাট পরিসর তৈরি করেছে। তবে এই পরিসর কখনোই ভয় বা সহিংসতার ক্ষেত্র হয়ে উঠতে পারে না। নারীদের নিরাপদ অংশগ্রহণ নিশ্চিত না করে আমরা সমতাভিত্তিক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ কল্পনাও করতে পারি না।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. তাসনিম আরেফা সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার তাসনুভা শেলীসহ বিভিন্ন স্টেক হোল্ডার এবং দপ্তর সংস্থার প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।