শিরোনাম

ঢাকা, ২৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ঢাকার মেট্রোরেল লাইন ও পিলারের নিরাপত্তা অডিট ও কাঠামোগত স্থায়িত্ব পর্যালোচনা করে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
সেই সাথে মেট্রোরেলের বিয়ারিং প্যাড খুলে নিহতের পরিবারকে কেন দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।
ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন, এডভোকেট তনু হালদারসহ তিন আইনজীবীর দায়ের করা পৃথক রিটের শুনানি শেষে আজ বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি আসিফ হাসানের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ ও বিপ্লব কুমার পোদ্দার।
আজকের আদেশের বিষয়ে আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, সরকারের প্রতি নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে যে, অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপক, স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ার এবং বেসরকারি বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে একটি স্বতন্ত্র ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করে ঢাকার মেট্রোরেল প্রকল্পের (সকল লাইন ও পিলারসহ) একটি পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তা অডিট ও কাঠামোগত স্থায়িত্ব পর্যালোচনা সম্পন্ন করে ৩০ দিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন এই আদালতের দাখিল করবে।
সেই সাথে বিয়ারিং প্যাড পড়ে আবুল কালাম আজাদের মৃত্যুর জন্য দুই কোটি টাকা তাৎক্ষণিক এবং পরবর্তীতে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ কেন প্রদান করা হবে না এবং মেট্রোরেল আইনের হতাহত ব্যক্তির জন্য ক্ষতিপূরণ কেন যথাযথভাবে পরিবর্তন করা হবে না, তা আদালত রুল জারি করে জানতে চেয়েছেন।
গত রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে মেট্রোরেলের নীচ দিয়ে হাঁটার সময় ওপর থেকে একটি বিয়ারিং প্যাড খুলে পড়ে পথচারী আবুল কালাম আজাদের মাথায় আঘাত লাগে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা দ্রুত তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার ঈশরপাটি গ্রামে। ৩৫ বছর বয়সী আবুল কালাম আজাদ মৃত্যুতে দেশব্যাপী মানুষ শোক প্রকাশ করেছেন।
তিনি স্ত্রী ও দুই শিশু সন্তান রেখে গেছেন। আবুল কালামের মৃত্যুর প্রেক্ষাপটে হাইকোর্টে মেট্রোরেল ও ফ্লাইওভারের নিরাপত্তা ইস্যুতে পৃথক রিট করা হয়।