শিরোনাম

ঢাকা, ২৬ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলের প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ বলেছেন, বাংলাদেশে আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরিবেশ এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি মূল্যায়ন করার জন্য কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে। সংস্থা বাংলাদেশে কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক মিশনের উপস্থিতির জন্য সকল অংশীদারদের সমর্থন নিশ্চিত করতে চায়।
আজ রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক শেষে কমনওয়েলথের নির্বাচন সহায়তা বিভাগের প্রধান লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ সাংবাদিকদের এ কথা বলেন। এ সময় চার জন নির্বাচন কমিশনার ও ইসির সিনিয়র সচিব উপস্থিত ছিলেন। লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমনওয়েলথ প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
সিইসির সাথে সাক্ষাৎ শেষে লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি কমনওয়েলথ প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়নের নেতৃত্ব দিচ্ছি। কমনওয়েলথকে সদস্য দেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হলে কমনওয়েলথ মহাসচিব সদস্য দেশে একটি প্রাক-নির্বাচন মূল্যায়ন মিশন প্রেরণ করেন।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম লক্ষ্য হলো, বাংলাদেশে কমনওয়েলথ পর্যবেক্ষক মিশনের উপস্থিতির ক্ষেত্রে সকল অংশীদারদের মধ্যে ব্যাপক সমর্থন নিশ্চিত করা। আমরা এখানে বিদ্যমান পরিবেশ এবং নির্বাচনের প্রস্তুতি মূল্যায়ন করার জন্য এসেছি।
তিনি আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে অবহিত এবং সহায়তা প্রদান করার জন্য অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকারের প্রশাসন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির সিনিয়র সচিবসহ সকলকে ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘আমরা আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত এখানে থাকব এবং আগামী দিনগুলিতে আমরা রাজনৈতিক দল, নাগরিক সমাজ, আন্তর্জাতিক দাতা এবং কূটনৈতিক সম্প্রদায়, মিডিয়া হাউস ও নাগরিক সমাজসহ বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারদের সাথে বৈঠক করব। আমাদের কর্মকাণ্ডে যতটা সম্ভব ব্যাপক হওয়ার চেষ্টা করছি।’
বাংলাদেশের সাথে কমনওয়েলথের ঐতিহাসিক সম্পর্ক অত্যন্ত দৃঢ় ও দীর্ঘ দিনের উল্লেখ করে লিনফোর্ড অ্যান্ড্রুজ বলেন, স্বাধীনতার পর ১৯৭০-এর দশকের গোড়ার দিকে কমনওয়েলথই প্রথম সংস্থা, যেখানে বাংলাদেশ যোগদান করে। তখন থেকেই বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার বিষয়ে কমনওয়েলথের আগ্রহ রয়েছে। সেই আগ্রহ এবং আসন্ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশের জনগণকে সমর্থন করার জন্যই এখানে আমাদের উপস্থিতি।
তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্র একটি যাত্রা। কমনওয়েলথ আগামী সপ্তাহ এবং মাসগুলিতে কেবল নির্বাচনের জন্যই নয়, নির্বাচনের বাইরে নির্বাচন-পরবর্তী পর্যায়েও বাংলাদেশকে সমর্থন করবে। কমনওয়েলথ বাংলাদেশ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে সম্পৃক্ত থাকার জন্য উন্মুখ।’
ইসি সচিবালয়ের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ বলেন, সার্বিকভাবে তারা নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। ডেলিগেশন নির্বাচনের আগে, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরে আসতে আগ্রহী। আমাদের পদক্ষেপ, নির্বাচনকালে কোন ডিসপিউট কিভাবে আমরা হ্যান্ডেল করি, ভোট কেন্দ্রের পরিবেশ, প্রযুক্তির ব্যবহার, অপপ্রয়োগ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অপব্যবহার সহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আমাদের সাথে তাদের আলোচনা হয়েছে।