বাসস
  ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ১৬:৩১

দুই দিনব্যাপী শচীন দেববর্মণের জন্ম-মৃত্যুবার্ষিকী পালনে প্রস্তুতি সভা 

ছবি : বাসস

কুমিল্লা, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : উপমহাদেশের সুরসম্রাট ও সংগীতের বরপুত্র শচীন দেববর্মণের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী পালনে কুমিল্লায় আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। 

কুমিল্লা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ বৃহস্পতিবার এ উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে এক প্রস্তুতি সভা। সভায় জানানো হয়, সুরসম্রাটের জন্ম ও মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর দুই দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্মৃতিচারণ সভার আয়োজন করা হয়েছে।

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বক্তব্য দেন জেলা কালচারাল কর্মকর্তা বিএম কামরুল হাসান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শামীম কুদ্দুস ভূইয়া, কুমিল্লা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আবুল হাসনাত বাবুল, কবি নজরুল ইন্সটিটিউট কেন্দ্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আল আমিন, এবি পার্টি কুমিল্লা মহানগর আহবায়ক গোলাম মুহা. সামদানী, জাসাস কুমিল্লা মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক ইসতিয়াক আহমেদ পল্লব প্রমুখ। 

আয়োজক কমিটির সদস্যরা জানান, অনুষ্ঠানস্থলকে সাজানো হবে শচীন দেববর্মণের জীবন, কর্ম, বিরল আলোকচিত্র ও সংগীত উত্তরাধিকার তুলে ধরে। দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে দেশের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী, গবেষক, সাহিত্যিক ও সংস্কৃতিকর্মীরা অংশ নেবেন। ইতিমধ্যেই কুমিল্লায় সৃষ্টি হয়েছে উৎসবমুখর পরিবেশ।

প্রতি বছরের মতো এবারের আয়োজনও সংস্কৃতি প্রেমী ও সংগীতানুরাগীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি করেছে। আয়োজকরা বলেন, এ অনুষ্ঠান শুধুমাত্র সুরসম্রাটকে স্মরণ নয়, বরং নতুন প্রজন্মকে তাঁর সংগীত দর্শন, চিন্তা ও অবদানের সঙ্গে পরিচিত করার একটি উদ্যোগ।

এ কর্মসূচিতে থাকছে শচীন দেববর্মণের জীবন ও কর্ম নিয়ে আলোচনা সভা, তাঁর সুরে গাওয়া জনপ্রিয় গান পরিবেশনা, তরুণ শিল্পীদের অংশগ্রহণে মুক্ত সংগীতানুষ্ঠান, এবং স্থানীয় সংগীত, হস্তশিল্প ও বইয়ের প্রদর্শনী।

উল্লেখ্য, কুমিল্লার সন্তান শচীন দেববর্মণ ছিলেন এক অনন্য সংগীতপ্রতিভা। রাজপরিবারে জন্ম নেওয়া এই কিংবদন্তি শিল্পী বাংলা ও হিন্দি উভয় সংগীত জগতে রেখে গেছেন অমর ছাপ। তাঁর সুর, কণ্ঠ ও সৃষ্টিশীলতা আজও দুই বাংলার সংগীতপ্রেমীদের হৃদয়ে অম্লান।

আয়োজকরা আশা করছেন, এ আয়োজন কুমিল্লার মানুষকে যেমন শচীন কর্তার স্মৃতির আবহে ফিরিয়ে নেবে, তেমনি নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে তাঁর সংগীতচর্চা ও উত্তরাধিকার সংরক্ষণে।

এ সময় কুমিল্লার বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।