শিরোনাম
খাগড়াছড়ি, ২৩ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস): চট্টগ্রাম রিজিয়ন এলাকার ৫৪০ কিলোমিটার সীমান্তে নিরাপত্তা, চোরাচালান দমন ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় বিজিবি (বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ) অব্যাহতভাবে দায়িত্ব পালন করছে। চলতি বছর বিজিবির অভিযানে চোরাই মালামাল ও অস্ত্র উদ্ধার ও ২৭ জন আটক করা হয়েছে।
এই রিজিয়নের অধীনে থাকা ১৩টি ব্যাটালিয়ন পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দুর্গম সীমান্ত এলাকায় দিনরাত অভিযান, নজরদারি ও টহল কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত পরিচালিত বিভিন্ন অভিযানে বিজিবি চট্টগ্রাম রিজিয়ন ২৭ জন চোরাকারবারিকে আটক করেছে এবং মোট ১৯ কোটি ৫৫ লাখ টাকার অবৈধ চোরাচালান মালামাল জব্দ করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চট্টগ্রাম রিজিয়নের আওতাধীন খাগড়াছড়ির যামিনী পাড়া ২৩ বিজিবি ব্যাটালিয়ন সদর দফতরে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল খালেদ ইবনে হোসেন।
লেফটেন্যান্ট কর্নেল জানান, বিজিবির চলমান অভিযানে বিপুল পরিমাণ অবৈধ পণ্য ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত মালামালের মধ্যে রয়েছে ৯টি আগ্নেয়াস্ত্র ও ৩৫ রাউন্ড গুলি, ১ হাজার বোতল বিদেশি মদ, ৩৩০ কেজি গাঁজা, ৮৪০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং ৪৪৫টি গরু, মহিষ ও ছাগল।এ ছাড়াও বিপুল পরিমাণ মোবাইল ফোন, বিদেশি সিগারেট, কাপড় ও আতশবাজি আটক করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করা হয়, সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল ও নজরদারি জোরদার করা হয়েছে। বিশেষ করে পার্বত্য অঞ্চলে অস্ত্র ও মাদক পাচার রোধে বিজিবির সদস্যরা তৎপর রয়েছেন।
জোন কমান্ডার আরও বলেন, চোরাচালান ও সীমান্ত অপরাধের পাশাপাশি পার্বত্য চট্টগ্রামে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্টের চেষ্টা যে কোনোভাবে প্রতিহত করতে বিজিবি প্রস্তুত রয়েছে।তিনি আরো বলেন,আমরা সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি দেশের অভ্যন্তরে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষায়ও কাজ করছি। বিজিবির এসব অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিজিবির তথ্য অনুযায়ী, সীমান্ত এলাকায় মাদক, অস্ত্র ও গবাদিপশু পাচার রোধে গত কয়েক মাসে একাধিক সফল অভিযান পরিচালিত হয়েছে। এসব অভিযানে আটককৃতদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে ২৩ বিজিবির সহকারী পরিচালক আবুল লেইচসহ বিভিন্ন স্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।