বাসস
  ২২ অক্টোবর ২০২৫, ১২:৪৬

মেঘনায় ডুবে যাওয়া কয়লার জাহাজের ১৩ ক্রুকে উদ্ধার 

ক্ষতিগ্রস্ত লাইটার জাহাজ থেকে ১৩ জন ক্রুকে উদ্ধার করেছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি কোস্ট গার্ড। ছবি: বাসস

লক্ষ্মীপুর, ২২ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : মেঘনায় দুই লাইটার জাহাজের সংঘর্ষে ডুবে যাওয়ার দুইদিনেও এমভি মডার্ন মেরিন-১৯ লাইটার জাহাজটি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। তবে রামগতি-ভোলার তজুমদ্দিনের সেলিমের টেকের চরে আটকে পড়া ক্ষতিগ্রস্ত লাইটার জাহাজ থেকে ক্যাপটেন আবদুস সালামসহ ১৩ জন ক্রুকে উদ্ধার করেছে লক্ষ্মীপুরের রামগতি কোস্ট গার্ড। 

কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লে: কমান্ডার সিয়াম-উল-হক জানান, দুই লাইটার জাহাজের সংঘর্ষের খবর পেয়ে গতকাল মঙ্গলবার দুপুর থেকে কোস্ট গার্ড স্টেশন রামগতি কর্তৃক একটি উদ্ধারকারী দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে ক্ষতিগ্রস্ত ডুবে যাওয়া এমভি মডার্ন মেরিন-১৯ লাইটার জাহাজ থেকে গত রাতে ১৩ ক্রুকে উদ্ধার করে। ডুবে যাওয়া জাহাজ উদ্ধারে অভিযান শীঘ্রই শুরু করা হবে। উদ্ধারকৃত ক্রুদের জাহাজের মালিকের কাছে হস্তান্তর করা হয়। 

রামগতি কোস্টগার্ড ও জাহাজ মালিক সূত্রে জানা যায়, চট্রগ্রাম বন্দর থেকে কয়লা নিয়ে পায়রা বন্দরের দিকে যাচ্ছিল এমভি মডার্ন মেরিন-১৯ লাইটার জাহাজ। ২০ অক্টোবর সোমবার মধ্যরাতে ভোলার তজুমদ্দিনে পৌঁছালে অপর লাইটার জাহাজ এমভি উম্মে হাবিবার সাথে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় ‘এমভি মডার্ন মেরিন-১৯’ লাইটার জাহাজটির তলদেশ ফেটে গিয়ে পানি প্রবেশ করলে জাহাজটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রামগতি-ভোলার তজুমদ্দিনের সীমানায় সেলিমের টেকের চরে আটকে যায়। পরবর্তীতে জাহাজের ক্রুরা কোস্ট গার্ডের শরণাপন্ন হয়। পরে রামগতি স্টেশনের কোস্টগার্ডের সদস্যেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে ১৩ ক্রুকে উদ্ধার করে। তবে এখনো জাহাজ ডুবে রয়েছে। সেখানে কয়লাভর্তি রয়েছে। এ ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।