শিরোনাম
নাটোর, ৯ অক্টোবর, ২০২৫ (বাসস) : জেলায় টাইফয়েড টিকাদান বিষয়ক পরামর্শমূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
জেলা তথ্য অফিস ‘শিশু, কিশোর-কিশোরী ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রচার কার্যক্রম’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই কর্মশালার আয়োজন করে।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে এগারোটায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আসমা শাহীন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য উপস্থাপন করে জেলা তথ্য অফিসার মো. আ. আওয়াল জানান, আগামী ১২ অক্টোবর থেকে নাটোরসহ সারাদেশে একযোগে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম শুরু হতে যাচ্ছে। এখন চলছে নিবন্ধন কার্যক্রম। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কমিউনিটি পর্যায়ে নয় মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী সকল শিক্ষার্থীসহ সবাইকে নিবন্ধনের আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে প্রচারণা কার্যক্রম অব্যাহত আছে।
কর্মশালায় মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ মুক্তাদির আরেফীন। তিনি বলেন, ২০১৭ সাল থেকে দেশে ব্যক্তি পর্যায়ে টাইফয়েড টিকা গ্রহন কার্যক্রম চালু আছে। ইতোমধ্যে সার্কভূক্ত পাকিস্তান এবং নেপালে সরকারি পর্যায়ে টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। এই টিকা পরীক্ষিত এবং সম্পূর্ণ নিরাপদ।
জেলায় নির্ধারিত বয়সী শিশুদের মধ্যে এক হাজার ৫৮৮টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দুই লাখ ৯৯ হাজার ৩৪১ জন শিক্ষার্থীকে ১২ অক্টোবর থেকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত এবং কমিউনিটিতে জেলার এক হাজার ৭৫২টি টিকাদান কেন্দ্রে আরো এক লাখ ৩০ হাজার ৫৪১ জন শিশুকে ১ নভেম্বর থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত টিকা প্রদান করা হবে। জেলার মোট চার লাখ ২৯ হাজার ৮৮২ জনের মধ্যে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫৬৭ জন শিশুর নিবন্ধন করা হয়েছে।
কর্মশালায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মেডিকেল অফিসার ডা. এম এ মতিন জানান, দেশে ২০২১ সালে চার লাখ ৭৭ হাজার ব্যক্তি টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হন। এরমধ্যে সাত হাজার ৯৯৮ জন মৃত্যুবরণ করেন। এরমধ্যে ৬১ শতাংশ অর্থাৎ পাঁচ হাজার ৪৩৮ জন ১৫ বছর বয়সী শিশু।
সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক বলেন, সকলের সমন্বিত প্রচেষ্টায় আমরা ইপিআই টিকাদান কার্যক্রমের মত টাইফয়েড টিকাদান কার্যক্রমকে সফল করতে চাই। প্রায় তিন হাজার টাকা মূল্যমানের এক একটি টিকা পরীক্ষিত এবং নিরাপদ। নির্ধারিত বয়সী শিশুদের টিকাদানের আওতায় নিয়ে এসে টাইফয়েড জ্বর থেকে সুরক্ষিত রাখতে চাই।
কর্মশালায় অনলাইনে সংযুক্ত হন গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক গাজী শরিফা ইয়াসমিন। কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আবুল হায়াত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নাটোর সার্কেল) মাহমুদা শারমিন নেলী এবং সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. কামাল উদ্দিন ভূঁইয়া।